আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ইয়েমেনের রাজধানী সানাতে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।শনিবার (২১ ডিসেম্বর) হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলে হুতিদের হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা আঘাত হানে। এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড এক বিবৃতিতে জানায়, সানায় বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্র ভান্ডার ও অভিযান পরিচালনা কেন্দ্র লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে।
এ ছাড়া লোহিত সাগরের ওপর বেশ কয়েকটি হুতি ড্রোন এবং একটি জাহাজবিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে মার্কিন বাহিনী।এদিকে হুতি বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত আল মাসিরাহ টিভি জানিয়েছে, সানার আত্তান শহরে পশ্চিমা বাহিনীর হামলা চালানো হয়েছে। তবে তারা এ হামলার জন্য সরাসরি মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনীকে দায়ী করে।
এর আগে ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠী গতকাল শনিবার (২১ ডিসেম্বর) তেল আবিব শহরের জাফা এলাকায় একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এই হামলায় ২৩ জন আহত হন।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূপাতিত করতে ব্যর্থ হওয়ার কথা স্বীকার করেছে। তারও আগে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর), ইসরায়েল ইয়েমেনের রাজধানী সানা ও বন্দরনগরী হোদেইদাহতে বিদ্যুৎকেন্দ্র ও জ্বালানি স্থাপনায় হামলা চালায়। ওই হামলায় ৯ জন নিহত হন।
ইসরায়েল দাবি করে, হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দিতেই তারা এই আক্রমণ চালিয়েছে।প্রসঙ্গত, ইসরায়েল-হুতি সংঘাতের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন এই বছর একাধিকবার হুতিদের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। বিশেষ করে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হুতিদের আক্রমণের পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে এসব হামলা পরিচালিত হয়েছে।
ইসরায়েল এবং হুতিদের মধ্যকার উত্তেজনা নতুন নয়। গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে এবং গাজার হামলা বন্ধের দাবি জানিয়ে ইসরায়েলের দিকে প্রায়ই ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে হুতিরা।
জবাবে, ইয়েমেনের বিদ্যুৎ, বন্দর ও জ্বালানি স্থাপনাগুলোতে বারবার হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সাম্প্রতিক হামলা মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতকে আরও জটিল করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
Discussion about this post