বাংলাদেশ নিউজ ডেস্ক
ডেঙ্গু থেকে বাঁচার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষা করা। কারণ ডেঙ্গু ভাইরাস এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। নিচে কিছু উপায় দেওয়া হলো যা মেনে চললে ডেঙ্গুর ঝুঁকি কমানো যায়:
১.মশা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ:
জমে থাকা পানি পরিষ্কার রাখা: এডিস মশা সাধারণত জমে থাকা পানিতে ডিম পাড়ে, তাই ফুলের টব, পরিত্যক্ত টায়ার, কনটেইনার, কুলার ইত্যাদির মতো স্থানে পানি জমতে না দেওয়া।
মশার নিধন:মশার আবাসস্থল ধ্বংস করার জন্য স্প্রে ব্যবহার করা এবং জমে থাকা পানিতে লার্ভিসাইড প্রয়োগ করা।
২.ব্যক্তিগত সুরক্ষা:
-মশার কামড় থেকে রক্ষা করা: যতটা সম্ভব শরীর ঢাকা থাকে এমন কাপড় পরা, বিশেষ করে সকালে এবং সন্ধ্যার সময়, কারণ এই সময়ে এডিস মশা বেশি সক্রিয় থাকে।
– মশারির ব্যবহার: দিনে এবং রাতে মশারি ব্যবহার করা।
– মশার রিপেলেন্ট ব্যবহার: ত্বকের উন্মুক্ত অংশে মশার বিরোধী ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করা।
৩.বাসার পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা:
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা: বাড়ির আশেপাশে কোনো আবর্জনা বা জলাবদ্ধতা যাতে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখা।
ফুলের টব, কনটেইনার পরিষ্কার করা: সপ্তাহে অন্তত একবার ফুলের টব, কনটেইনার বা যে কোনো স্থানে জমে থাকা পানি ফেলে দিয়ে পরিষ্কার করা।
৪.মশা প্রতিরোধী পর্দা ও দরজা ব্যবহার:
– জানালা ও দরজায় মশা প্রতিরোধী নেট লাগানো, যাতে মশা ঘরে প্রবেশ করতে না পারে।
5.সচেতনতা বৃদ্ধি:
– ডেঙ্গুর লক্ষণ এবং প্রতিরোধ সম্পর্কে পরিবার ও সমাজকে সচেতন করা।
৬.ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া:
– জ্বর, মাথাব্যথা, গা ব্যথা, র্যাশ বা অন্যান্য ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।
এই উপায়গুলো মেনে চললে ডেঙ্গু থেকে নিজেকে এবং পরিবারকে কিছুটা হলেও সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।
Discussion about this post