রাকিব হোসেন মিলন
বিশেষ প্রতিনিধি।
ধানমন্ডি এলাকায় ছিনতাইকালে প্রাইভেটকারসহ দুইজন ছিনতাইকারী ও মিরপুরের পল্লবীতে বাসে অগ্নিসংযোগকালে দুইজন নাশকতাকারীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। গ্রেফতারকৃত ছিনতাইকারীরা হলো মোঃ নুর আলম হাবু ও মোঃ আলমাস। আর নাশকতাকারী দুইজন হলো মোঃ আসাদুল তালুকদার ও মোঃ ইউসুফ শেখ।
মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, গত ২৬ নভেম্বর জনৈক ভিকটিম ও তার বড় ভাই হাজারীবাগ হতে পান্থপথে নিজ বাসার উদ্দেশ্যে রিকসায় করে যাওয়ার সময় রাত দেড়টার দিকে ধানমন্ডি আবাহনী মাঠের পিছনে ওয়াসার অফিসের সামনে একটি প্রাইভেটকার তাদের রিকসার গতিরোধ করে। প্রাইভেটকার থেকে নেমে কতিপয় ছিনতাইকারী চাপাতির ভয়-ভীতি দেখিয়ে ভিকটিম ও তার ভাইয়ের কাছ থেকে দুইটি স্যামসাং মোবাইল, বারশো টাকা জোরপূর্বক কেড়ে নেয়। ভিকটিমদের চিৎকারে খুব দ্রুত ধানমন্ডি থানার টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং ছিনতাইকারীদের পিছনে ধাওয়া করে। বিভিন্ন টহলরত পুলিশের সহায়তায় কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দুইজন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত হতে ছিনতাইকৃত একটি স্যামসাং মোবাইল, একটি মোবাইলের ব্যাক কাভার এবং ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার ও দুইটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে অস্ত্র আইন, দস্যুতা ও মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে।
অপর এক ঘটনায়, গত ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে পল্লবী থানার সাত নাম্বার রোডের কেএফসির সামনে শিকড় পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় মোঃ আসাদুল তালুকদার ও মোঃ ইউসুফ শেখ নামে দুইজনকে গ্রেফতার করে পল্লবী থানা পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, জনমনে ভয়-ভীতি ও ত্রাস সৃষ্টির জন্য স্থানীয় এক বিএনপি নেতার নির্দেশে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে উক্ত বাসে আগুন দিয়েছে বলে স্বীকার করেছে।
সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্তে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকাতে গত ২৯ শে অক্টোবরথেকে আজ পর্যন্ত যতগুলো নাশকতার ঘটনা ঘটেছে তার উল্লেখযোগ্য সংখ্যার ক্ষেত্রেই এগুলো শনাক্ত হয়েছে এবং ৩২ জনকে এপর্যন্ত হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে শুধু ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নয়, বিভিন্ন পেশাজীবী, সাংবাদিক ও পরিবহন খাতে সেবা দানকারী ব্যক্তিসহ সর্বস্তরের জনগণ নাশকতাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করতে সহায়তা করে আসছে। এজন্য তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সম্মানিত নগরবাসীর নিরাপত্তা দিতে বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে তিনি বলেন, কর্মসূচির নামে এ ধরনের নাশকতা সৃষ্টি করে মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাদের উদ্দেশ্য কখনো সফল হবে না। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ মহানগর বাসীর জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা দিতে বদ্ধপরিকর। এটা পুলিশের দায়িত্ব আর এই দায়িত্বের অবস্থানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সুদৃঢ় অবস্থানে ছিল, আছে এবং থাকবে।
Discussion about this post