বাংলাদেশ নিউজ ডেস্ক
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়ার পথে গাড়িচাপায় মো. আলী হোসেন নামে এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন।রোববার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ১২টার দিকে উপজেলার নিজামপুর সরকারি কলেজ শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়ার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাসচাপায় মারা যান তিনি।
নিহত আলী হোসেন উপজেলার দক্ষিণ ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ওয়াহেদপুর এলাকার মো. আখেরুজ্জামানের ছেলে।নিহতের স্বজনরা জানান, আলী হোসেন পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। একই সঙ্গে যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
রোববার রাতে দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিজামপুর সরকারি কলেজ শহীদ মিনারে ফুল দিতে যাচ্ছিলেন তিনি। তখন দ্রুতগতির ঢাকাগামী সেন্ট মার্টিন পরিবহনের একটি বাস পেছনে থাকা আলী হোসেনকে ধাক্কা দিয়ে সড়কের বাইরে ফেলে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই আলী হোসেন নিহত হন।
নিহতের চাচা শহিদুল ইসলাম বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা নিজামপুর সরকারি কলেজ শহীদ মিনারে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে যাচ্ছিলাম। আলী হোসেন ছিলেন পেছনের দিকে। মহাসড়ক ধরে নিজামপুর পুলিশি তদন্তকেন্দ্রের সামনে এলে পেছন থেকে দ্রুতগতির একটি যাত্রীবাহী বাস আলী হোসেনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নিজামপুর পুলিশি তদন্তকেন্দ্রের সহকারী উপপুলিশ পরিদর্শকে (এএসআই্) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রাতে নিজামপুর পুলিশি তদন্তকেন্দ্রের সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে যাত্রীবাহী সেন্টমার্টিন পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা একটি কাভার্ডভ্যানকে ধাক্কা দিলে বাসের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়।
তখন সড়কের পাশ ধরে হেঁটে যাওয়া পথচারীদের একজনের সঙ্গে বাসের ধাক্কা লাগলে তিনি ঘটনাস্থলে নিহত হন। দুর্ঘটনার পর গাড়ি ফেলে চালক ও তার সহকারী পালিয়ে যান।
তিনি আরও বলেন, আমরা দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি উদ্ধার করে কুমিরা হাইওয়ে পুলিশের হেফাজতে দিয়েছি। লাশ উদ্ধার করে পরিবারের লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া হস্তান্তর করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রাকিব হোসেন মিলন
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: দিপা আক্তার
মোবাইলঃ 01634559838
মোবাইলঃ 01944701754
Email:mrheng1971@gmail.com
২০২২. সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।দৈনিক বাংলাদেশ নিউজ
Developer by: Md Tushar Emran