মোঃ কামরুল হাসান
জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার
বিশ্বের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজার। শতভাগ নিরাপত্তার শঙ্কা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে ভবঘুরে, উন্মাদ ও ভিক্ষুকদের উৎপাত ।বিগত কয়েক বছরে কক্সবাজারে অনেক বেড়েছে উন্মাদ ও ভিক্ষুক। তাদের শরীরে নোংরা কাপড় বা উলঙ্গ অবস্থায় লম্বা লম্বা চুল দাড়ি নিয়ে এদিক সেদিক ঘুরতে থাকে ভবঘুরে ও উন্মাদ মানুষ গুলো।এসব দেখে বিব্রতবোধ করে পর্যটক ও স্থানীয়রা। শিশুরা দেখে আতঙ্কিত হয়ে উঠে।
সম্প্রতি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন রামুর একজন ছাত্র সংগঠক মোঃ মনির পর্যটন এলাকায় ভবঘুরে ও উন্মাদ মানুষ গুলোর পরিস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করলে ‘মাহবুব ক্রিয়েটর ৪ ‘ নামে ঢাকার একটি স্বেচ্ছাসেবী গ্রুপ রামুর মনিরের সাথে যোগাযোগ করে।
মনিরের নেতৃত্বে রামুর স্বেচ্ছাসেবক ও ঢাকার স্বেচ্ছাসেবকরা যৌথ ভাবে পর্যটন এলাকায় ভবঘুরে, উন্মাদ ও ভিক্ষুকদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, নতুন কাপড় এবং খাবার বিতরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ , মঙ্গলবার সকাল থেকে ‘মাহবুব ক্রিয়েটর ৪’ এবং ছাত্র সংগঠক মনিরের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবকরা কলাতলী থেকে মানবিক কার্যক্রম শুরু করে। সকাল দশটা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত মোট ০৭ (সাত) জন ভবঘুরে ও উন্মাদ মানুষকে চুল দাড়ি কেটে দিয়ে গোসল করিয়েছেন এবং নতুন কাপড় সহ খাবারের প্যাকেট বিতরণ করেন।
স্বেচ্ছাসেবক মাহবুব ও মনির জানান, তাদের মানবিক কার্যক্রম কক্সবাজারে সাতদিন পর্যন্ত চলবে।
কক্সবাজার চেম্বার অফ কমার্স ইন্ড্রাসটিজ এর পরিচালক ও পর্যটন উদ্যোক্তা এপেক্সিয়ান মুকিম খাঁন জানান, এটি খুবই ভালো উদ্যোগ। পর্যটন এলাকায় পাগল এবং ভবঘুরে লোকদের পুনর্বাসন করা দরকার। এসব লোকদের কারণে অনেক সময় পর্যটকদের হয়রানির সম্মুখীন হতে হয়।
কারণ তাদের বিবেকবোধ বলতে কিছু নেই, তারা প্রতিনিয়ত ফুটপাতে রাস্তায় বসে থাকে যার কারণে পথচারীদের চলাচলে অনেক সমস্যা হয়। এই কার্যক্রমকে আমি সাধুবাদ জানাই আশা করি পর্যটন নগরী অনেক সুন্দর হবে।
উল্লেখ্য কলাতলী থেকে বাজার ঘাটা এবং কাছের উপজেলা গুলোতে মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে উক্ত স্বেচ্ছাসেবক টীমের।
Discussion about this post