দিপা আক্তার
বিশেষ প্রতিনিধি
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হাসান মো. শওকত আলী বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের পাশাপাশি জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে। এবার পুলিশের পাশে জনগণ এসে দাঁড়িয়েছে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা ছিল।
আজ রবিবার (০৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশান শুটিং ক্লাবে পুলিশ, ছাত্র-জনতা ও গুলশান থানা এলাকার সম্মানিত নাগরিকবৃন্দের সমন্বয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন ।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হাসান মো. শওকত আলী বলেন, পুলিশিংকে ফলপ্রসূ করতে হলে এবং সমাজ থেকে সমস্যা দূর করতে হলে শুধু পুলিশই নয়, পুলিশের পাশাপাশি জনগনকেও এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, গুলশান এলাকার সম্মানিত নাগরিকবৃন্দ রিকশাওয়ালাদের জন্য মেডিকেল সেবার ব্যবস্থা করেছেন এটি নিসন্দেহে মানবিক ও চমৎকার বিষয় এবং প্রশংসার ঊর্ধ্বে। এভাবে আমরা একে অপরের বিপদে এগিয়ে আসলে গড়ে উঠবে সুন্দর সমাজ।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আরো বলেন, মাদক আমাদের যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। প্রতিটি পরিবারের দায়িত্ব হচ্ছে তার প্রত্যেক সদস্যকে নজরে রাখা ও সচেতন করা।
গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ তারেক মাহমুদ বলেন, ৫ই আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় ঘটনা। এই ঘটনার পরে সরকার ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এসেছে।
পাশাপাশি পুলিশিং ব্যবস্থাপনা তথা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশিং ব্যবস্থাপনায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ গুলশান এলাকার সম্মানিত নাগরিকবৃন্দকে জন্য সত্যিকার অর্থে নাগরিক সেবা দিতে চাই।
আপনারা আমাদের সকল সময় সহযোগিতা করে এসেছেন, এ সহযোগিতা আমরা অব্যাহতভাবে আপনাদের কাছে চাই।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছাত্র-জনতা ও গুলশান থানা এলাকার সম্মানিত নাগরিকবৃন্দ অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের কাছে তাদের বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন।
গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ তারেক মাহমুদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় গুলশান বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী, ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং ছাত্র-জনতা উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post