আন্তর্জাতিক ডেস্ক ,
গাজায় অব্যাহতভাবে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। দেশটির এ হামলায় উপত্যকায় আরও ৪৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকায় ৪৮ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০১ জন। খান ইউনিসের আল নাসের হাসপাতালের পরিচালক আতিফ আল হাউত বলেন, গাজার সেফ জোন আল মাওয়াশিতেও আবারও বোমা হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
এতে অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অনেকে।আলজাজিরার সংবাদিক জানান, এ হামলায় ইসরায়েল নারী ও শিশুদের পুড়িয়ে হত্যা করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় অন্তত ৪৪ হাজার ৫৮০ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত এক লাখ ৫ হাজার ৭৩৯ জন। অন্যদিকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের হামলায় ইসরায়েলে এক হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। দেশটির অব্যাহত এ হামলায় সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে অন্তত ১৫ বছর সময় লাগবে। এজন্য প্রতিদিন ১০০টি লরি ব্যবহার করতে হবে। জাতিসংঘের হিসাবমতে, গাজায় ভবন ধসে এ পর্যন্ত ৪২ মিলিয়ন টনেরও বেশি ধ্বংসস্তূপ জমা হয়েছে।
এ ধ্বংসস্তূপগুলো যদি একসঙ্গে এক জায়গায় রাখা যায়, তাহলে তা মিসরের ১১টি গ্রেট পিরামিডের সমান হবে। এ ধ্বংসস্তূপ সরাতে ব্যয় হবে ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি)। ইউএন এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের হিসাব অনুসারে, গাজায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৭টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা অঞ্চলটির মোট ভবনের অর্ধেকের বেশি।
ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মধ্যে এক-চতুর্থাংশ পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এ ছাড়া এক-দশমাংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এক-তৃতীয়াংশ বেশ খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ফেলার জন্য ২৫০ থেকে ৫০০ হেক্টর জমির প্রয়োজন পড়বে
গাজাভিত্তিক জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘অবকাঠামোর যে পরিমাণ ক্ষতি করা হয়েছে, তা পাগলামির পর্যায়ে পড়ে… দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে একটি ভবনও নেই যেখানে ইসরায়েল হামলা চালায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রকৃত অর্থেই এ অঞ্চলের ভৌগোলিক চিত্র পরিবর্তিত হয়ে গেছে। যেখানে আগে পাহাড় ছিল না, এখন সেখানে পাহাড় হয়ে গেছে। দুই হাজার পাউন্ডের বোমাগুলো আক্ষরিক অর্থেই এ অঞ্চলের মানচিত্র বদলে দিয়েছে।
Discussion about this post