আন্তর্জাতিক ডেস্ক ,
বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র পছন্দের শীর্ষে শিক্ষার্থীদের। তবে যত দিন ঘনিয়ে আসছে ততই বিপদ বাড়ছে দেশটিতে থাকা অভিবাসীদের। ক্ষমতার প্রথম দিন থেকেই বিপুল পরিমাণ অভিবাসীকে দেশ থেকে তাড়াতে চান নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমন অবস্থায় ঘোর চিন্তায় পড়েছে খোদ মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
বিপুল সংখক বিদেশি শিক্ষার্থী আর কর্মীদের প্রতি জারি করা হয়েছে জরুরি নির্দেশনা। ট্রাম্পের খড়গহস্ত থেকে বিদেশি শিক্ষার্থী ও কর্মীদের বাঁচাতে জোরেশোরে তৎপরতা শুরু করেছে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
এরই মধ্যে ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানের আগেই বিদেশি শিক্ষার্থী ও কর্মীদের ক্যাম্পাসে ফিরে আসার নির্দেশনা দিয়েছে বিভিন্ন মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়। অধ্যাপকরা জানাচ্ছেন নির্বাচনের পর থেকেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে দিনযাপন করছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষাবিষয়ক অভিবাসন পোর্টালের তথ্য বলছে, দেশটিতে চার লাখের বেশি শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছে যাদের প্রয়োজনীয় নথিপত্র নেই। এমন অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের শিক্ষার্থীদের রক্ষায় বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছে।
কলোরাডো ডেনভার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্লো ইস্ট জানান, অভিবাসন সংক্রান্ত অনিশ্চয়তার ফলে শিক্ষার্থীরা এখন অবিশ্বাস্য চাপে রয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী এখন তাদের ভিসা এবং তাদের শিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হবে কিনা তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।
নভেম্বরে ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস বিদেশি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য একটি ভ্রমণ নির্দেশনা জারি করে। সেখানে শীতকালীন ছুটির কাটিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানের আগেই যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসার জন্য জরুরিভাবে অনুরোধ করা হয়। সেখানে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে এমন অনুরোধ জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
একই ধরণের নির্দেশনা জারি করেছে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি এবং ওয়েসলিয়ান ইউনিভার্সিটিও। এসব বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শিক্ষার্থী এবং কর্মীদের ট্রাম্পের অভিষেকের আগে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে, ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টস অ্যান্ড স্কলারদের অফিস চলতি মাসে একটি ওয়েবিনার আয়োজন করেছে যাতে সম্ভাব্য অভিবাসন নীতি পরিবর্তনের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্বেগ প্রকাশ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
২০১৭ সালে হোয়াইট হাউসে নিজের প্রথম সপ্তাহে ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে উত্তর কোরিয়া, ভেনিজুয়েলা এবং বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করেন। তার প্রথম মেয়াদে শিক্ষার্থী ভিসার ওপর সীমাবদ্ধতা আরোপের প্রস্তাবও করেছিলেন।
Discussion about this post