রাকিব হোসেন মিলন
রাজধানীতে ডিএমপির ৫০ টি থানা রয়েছে। এর মধ্যে কদমতলী থানা অন্যতম। ৫ আগস্টের পর কদমতলী থানা পুলিশের নেওয়া বেশ কিছু কার্যকরী পদক্ষেপে খুশি স্থানীয় সেবা প্রত্যাশীরা। এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, থানার নতুন ওসি মাহমুদুর রহমান এবং তার নেতৃত্বাধীন থানা পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা জনসাধারণের সেবায় আন্তরিক হয়ে কাজ করছেন।
সরেজমিনে বিচার বিশ্লেষন করে দেখা যায় সাম্প্রতিক সময়ে কদমতলী থানা এলাকায় অপরাধ কমে এসেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বজায় রাখতে পুলিশ বাহিনী বেশ তৎপর রয়েছে। বিশেষ করে মাদক, চুরি ও ছিনতাই প্রতিরোধে কদমতলী থানা পুলিশ সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে থানা পুলিশের দৃশ্যমান তৎপরতা কম থাকলেও ইদানীং পুলিশের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। যার ফলে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বেলাল হোসেন নামে একজন সেবা প্রত্যাশী জানান, থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি), অভিযোগ কিংবা মামলা করতে আসলে পুলিশ সদস্যরা এখন দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছেন। আগের তুলনায় অভিযোগের শুনানি ও সমাধান প্রক্রিয়া অনেক সহজ ও স্বচ্ছ হয়েছে। থানায় আসা ভুক্তভোগীদের সঙ্গে পুলিশের আচরণও অত্যন্ত সহানুভূতিশীল ও সেবামূলক হওয়ায় সাধারণ মানুষের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে কদমতলী থানার ওসি মাহমুদুর রহমানের একটি চমৎকার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। যেখানে তিনি বলেছেন” কদমতলী থানা এলাকায় কোনো চাঁদাবাজ থাকবে না”। ভিডিও টি সোশ্যাল মিডিয়ায় দৃশ্যমান হাওয়ার সাথে সাথেই প্রশংসায় ভাসছেন ওসি মাহমুদুর রহমান।
কদমতলী থানা এলাকার মেরাজনগরের একজন সেবাপ্রত্যাশী মোহাম্মদ বাবলু বলেন, “আগে থানায় এসে অনেক সময় অপেক্ষা করতে হতো এবং অভিযোগ নেওয়া হত না। এখন থানায় আসার সঙ্গে সঙ্গে ডিউটি অফিসার অভিযোগ শুনে দ্রুত ব্যবস্থা নেন।”
এলাকার বিশিষ্টজনরা বলছেন কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করলে কদমতলী থানা পুলিশ আরো সফলতা পাবে। তাদের মতে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় জনসাধারণের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ এবং পুলিশের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক দৃঢ় হলে অপরাধমূলক কার্যক্রম সহজেই প্রতিহত করা সম্ভব।
এলাকাবাসী আশা করছেন, পুলিশের এই সেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে কদমতলী এলাকা শান্তি ও নিরাপত্তার এক অনন্য উদাহরণ হয়ে উঠবে।
এ বিষয়ে কদমতলী থানার ওসি বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি জনগণের কাছে পুলিশের সেবা পৌঁছে দিতে। থানায় যারা আসেন তাদের সমস্যার দ্রুত সমাধান করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। অপরাধমুক্ত এলাকা গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।”
Discussion about this post