বাংলাদেশ নিউজ ডেস্ক
জিআই (জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন) পণ্য বলতে নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকার উপর ভিত্তি করে উৎপাদিত পণ্য কে বুঝায়। ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) হচ্ছে কোনো সামগ্ৰীর ব্যবহার করা বিশেষ নাম বা চিহ্ন। এই নাম বা চিহ্ন নিৰ্দিষ্ট সামগ্ৰীর ভৌগোলিক অবস্থিতি বা উৎস (যেমন একটি দেশ, অঞ্চল বা শহর) অনুসারে নিৰ্ধারণ করা হয়। ভৌগোলিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সামগ্ৰী নিৰ্দিষ্ট গুণগত মানদণ্ড বা নিৰ্দিষ্ট প্ৰস্তুত প্ৰণালী অথবা বিশেষত্ব নিশ্চিত করে। উদাহরণস্বরুপ, ভৌগোলিক স্বীকৃতিপ্ৰাপ্ত ভোলার মহিষের দধির গুণগত মানদণ্ড উল্লেখযোগ্য। ভৌগোলিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বিভিন্ন সামগ্ৰী নিৰ্দিষ্ট অঞ্চলটিতে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করার অধিকার এবং আইনি সুরক্ষা প্ৰদান করে। এই জিআই পণ্যের গুরুত্ব কিন্তু অনেক বেশি। এই পণ্যের কয়েকটি গুরুত্ব তুলে ধরা হলো…..
১.অঞ্চলভিত্তিক মান ও খ্যাতি রক্ষা: জিআই পণ্য কোনো নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চল থেকে আসা একটি বিশেষ গুণ, মান বা খ্যাতির জন্য পরিচিত থাকে। এটি সেই অঞ্চলের সুনাম বজায় রাখতে সহায়তা করে।
২.অর্থনৈতিক সুবিধা: জিআই পণ্য উৎপাদকদের জন্য একটি প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা সৃষ্টি করে, কারণ এসব পণ্য উচ্চ দামে বিক্রি হতে পারে। এটি স্থানীয় অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখে।
৩.বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি: জিআই পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে বিশেষ পরিচিতি ও গ্রহণযোগ্যতা পায়। এটি রপ্তানি বাড়াতে সহায়তা করে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের চাহিদা বাড়ায়।
৪.কপিরাইট সুরক্ষা: জিআই পণ্য নিবন্ধন হলে তা কপিরাইট সুরক্ষার মাধ্যমে অন্য অঞ্চলের বা দেশের কেউ সেই পণ্য বা তার নাম ব্যবহার করতে পারে না, যা নকল পণ্য থেকে সুরক্ষা দেয়।
৫.সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যের সংরক্ষণ: জিআই পণ্য উৎপাদনের পদ্ধতি, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণে সহায়তা করে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশের জিআই পণ্যের মধ্যে জামদানি শাড়ি, ইলিশ মাছ, নকশি কাঁথা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
Discussion about this post