নিজস্ব প্রতিবেদক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার প্রস্তুতি চলছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা অনুযায়ী পুনর্বাসন কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।
আজ শনিবার ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের আধারমানিক গ্রামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন পরিবারের সাথে সাক্ষাৎকালে তিনি একথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলো স্থায়ী সংস্কারের আলোচনা চলছে, যেন ভবিষ্যতে এ অঞ্চলের জনগণ আর বন্যায় কষ্ট না পায়। প্রাথমিক ভাবে গৃহ নির্মাণ এবং শিক্ষা সামগ্রীর ব্যবস্থা করতে হবে, কারণ বন্যায় ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি স্কুল কলেজ ডুবে যাওয়ায় চেয়ার টেবিল গুলো নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করতে পারছে না।
সরকার পার্বত্য এলাকায় ইন্টারনেট বন্ধ করেছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, তথ্যটি সঠিক নয়,পার্বত্য এলাকায় ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়নি, ইন্টারনেট স্বাভাবিক রয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের চলামান সমস্যা নিয়ে জানতে চাইলে নাহিদ ইসলাম বলেন, এটা দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা তাই আমাদেরকে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে।এ জন্য কয়েকজন উপদেষ্টা পার্বত্য এলাকায় যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, দেশ সংকটকালের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে, এসময় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বাংলাদেশকে অশান্ত করার পরিকল্পনা অনেকেরই রয়েছে, নানাভাবেই পরিস্থিতি সংঘাত পূর্ণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে, তবে বাংলাদেশের জনগণ সতর্ক রয়েছে। পাশাপাশি সরকার এ সকল বিষয় গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছে, আশা করছি দ্রুতই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
এরপর উপদেষ্টা ফুলগাজী উপজেলার দরবারপুর ইউনিয়নের জগৎপুর গ্রামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাথে কথা বলেন। ক্ষতিগ্রস্তদের দাবির প্রেক্ষিতে মুহুরী নদী খনন, স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ সহ দ্রুততম সময়ে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্বস্ত করেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
পরিদর্শনকালে ফেনীর জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তারসহ স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রাকিব হোসেন মিলন
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: দিপা আক্তার
মোবাইলঃ 01634559838
মোবাইলঃ 01944701754
Email:mrheng1971@gmail.com
২০২২. সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।দৈনিক বাংলাদেশ নিউজ
Developer by: Md Tushar Emran