মোঃ কামরুল হাসান
রামুতে এনজিও সংস্থা থেকে অর্থ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে বিধবা নারীদের কাছ থেকে আত্মসাতকৃত টাকা ও স্বর্ণ প্রশাসনের মাধ্যমে উদ্ধার করে দিয়েছে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের রামু উপজেলার শিক্ষার্থীরা।
শনিবার ( ৩১ আগস্ট ) বেলা ১২ টায় রামু থানার এসআই সুনয়ন বড়ুয়ার মাধ্যমে ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে ভুক্তভোগী নারীদের এ অর্থ ও স্বর্ণ ফেরত দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, গত ৪ মাস আগে রামু থানার সামনে কম্পিউটার দোকানের জামশেদুল হক নামে এক যুবক এনজিও সংস্থা থেকে বিধবা নারীদের ১ লাখ টাকা করে পাইয়ে দেয়ার কথা বলে ৫ নারী থেকে মোট ২৫ হাজার টাকা নেয়। কিন্তু মাস পেরিয়ে গেলেও জামশেদ ওই নারীদের টাকা পাইয়ে দিতে না পারায় ভুক্তভোগীরা মৌখিকভাবে এসআই সুনয়ন বড়ুয়াকে অবহিত করে। পরবর্তীতে গত ১০-১৫ দিন আগে সুনয়ন বড়ুয়ার মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের ১০ হাজার টাকা ফেরত দেন অভিযুক্ত জামশেদ। পরে বাকী ১৫ হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও ভুক্তভোগীদের অর্থ ফেরত না দেওয়ায় ভুক্তভোগীরা আমাদের অবগত করেন। এছাড়াও ভুক্তভোগী বিধবা নারী জান্নাতুল ফেরদৌসকে মামলায় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে ২ হাজার টাকা নেয়। কিছুদিন পর জামশেদ বিভিন্ন কৌশলে ভুক্তভোগী জান্নাতুলের কাছে আবারও টাকা দাবি করে। সেসময় জামশেদের দাবিকৃত টাকা ভুক্তভোগী নারীর থেকে না থাকায় ৭ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন জামশেদকে দেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের ওই নারী।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, বিষয়টি জানার পর আমরা অভিযুক্ত জামশেদের দোকানে গেলে থাকে না পাওয়ায় তার ছোট ভাইয়ের ফোন থেকে তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি দূরে আছে বলে ফোন কেটে দেন। পরে থানায় যোগাযোগ করলে পরদিন এসআই সুনয়ন বড়ুয়ার মাধ্যমে আমরা ভুক্তভোগী নারীদের বাকী ১৫ হাজার টাকা ও স্বর্ণের চেইন ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হই। বাকী ২ হাজার টাকা ভুক্তভোগী জান্নাতুল ফেরদৌসকে এখনো দেননি জামশেদ।
এ বিষয়ের সত্যতা জানতে অভিযুক্ত জামশেদুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোনে সংযোগ প্রদান করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু তাহের জানান, বিষয়টি অবগত হওয়ার পর রামু থানা পুলিশ দ্রুত সময়ের মধ্যে ভুক্তভোগী নারীদের সহযোগিতা করেছে। অভিযুক্ত জামশেদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Discussion about this post