কামরুল হাসান
কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি
রামু সরকারী খিজারী আদর্শ উচ্চ
বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হওয়ার এক যুগ আগেও শিক্ষকদের বিশ্রি ও অনৈতিক কোন্দলের কারণে দক্ষ, যোগ্য ও চৌকস কোন প্রধান শিক্ষক যোগদান করতে পারতো না।২০০৬/০৭ সালে সামরিক পরিচালিত কোন এক বিদ্যালয় থেকে একজন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিলেন। কিন্তু উনাকে এক মাসও ঠিকতে দেইনি লুটপাট কারী শিক্ষক চক্র।এই দুষ্ট চক্রটি কারিগরি শাখার লক্ষ লক্ষ টাকার মেশিন, যন্ত্রপাতি বিক্রি করে দিয়েছিলো।
সেই দুষ্টু চক্রে যুক্ত হলো ক্ষমতার অপব্যবহার করে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ হওয়া কতিপয় শিক্ষকবৃন্দ।এই চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগকৃত শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি বলয় তৈরি করে এবং তাদেরকে দিয়ে একেকজন শিক্ষকের পেছনে লাগিয়ে দেয় এবং বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করে।
বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হয়েছে।সকল সরকারী সুবিধা ভোগ করছেন জাতীয়করণে পদায়ন হওয়া শিক্ষকবৃন্দ। কিন্তু বিশ্রি কোন্দল এখনও থেমে নেই।।সেই কোন্দলে বারবার অকটেন দিয়ে জিইয়ে রাখছে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগকৃত শিক্ষকরা।কোন ভাবেই শিক্ষা বান্ধব পরিবেশ তৈরি হচ্ছে না।
অভিভাবকদের দাবি ও প্রত্যাশা, অতি দ্রুত দক্ষ একজন প্রধান শিক্ষক যোগদান হোক এবং চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগকৃত শিক্ষকদের নিয়োগ যদি অবৈধ ভাবে হয় তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে নিয়োগ বাতিল করা হোক।
জাতীয় পর্যায়ের অসংখ্য খেলোয়াড় তৈরি হয়েছে ঐতিহ্যবাহী খিজারী স্কুলের মাঠে। দুঃখজনক কয়েকজন তথাকথিত ক্রীড়া সংগঠকদের নিয়ন্ত্রণে এই মাঠ।এই মাঠে ইচ্ছে করলেও দুই দিকে অবস্থিত দুই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ইচ্ছে মত খেলতে পারেনা । এখন নতুন করে যুক্ত হয়েছে মাঠের অভ্যন্তরে গণ শৌচাগার নির্মাণ কার্যক্রম।একটি খেলার মাঠে গণ শৌচাগার নির্মাণ কার্যক্রমের পেছনে প্রভাবিত করছেন সেই পুরনো দুষ্ট চক্র।
Discussion about this post