নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ওরা বিআরটিসি চেয়ারম্যানের লোক, মেজর জাহাঙ্গীর র্যাব সিও, কমান্ডার-৩, ঘনিষ্ঠজন। পাখির মত তুলে নেয়ার ক্ষমতা, গুম করে দেয়ার তার জন্য কোন ঘটনা নয়। এমন হুমকি ধমকি দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেন বিআরটিসির জিএম মেজর জাহাঙ্গীর। গত ১৯ ডিসেম্বর অফিসিয়াল সকল নিয়মনীতি ভঙ্গ করে ভোজন রেস্তোরাঁয় মেজর জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে পর্যায়ক্রমে বিআরটিসির ৩০/৩৫ কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ নিয়ে জাতীয় দৈনিক দৈনিক “এই বাংলা” এর বিশেষ প্রতিনিধি মোল্লা নাছিরের উপর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়।অফিস চলাকালীন সময়ে একটি প্রতিষ্ঠানের ৩০/৩৫ লোক এক সাথে কিভাবে বের হলো এবং এমন ঘটনা ঘটানো হলো তা এখন টক অবদা ম্যাগাসিটি।
মূলত সরকারি
একটি সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে বিআরটিসি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের নির্দেশে প্রতিষ্ঠানটির জিএম মেজর জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়।এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিষয়ে “দৈনিক এই বাংলার” বিশেষ প্রতিনিধি মোল্লা নাছির পল্টন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পল্টন থানা গত চারদিনেও অভিযোগটি তদন্তের নাম করে এখনো নথিভুক্ত করে নি করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে।
সাংবাদিক মোল্লা নাছির জানান, তিনি দূদকের একটি বিশ্বস্ত সুত্র থেকে বিআরটিসি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগ এবং অন্যান্য ডকুমেন্ট সংগ্রহ করেন।পরে সেই সত্যের সুত্র ধরে বিআরটিসি চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ শিরোনামে প্রতিবেদন তৈরী করেন। বিভিন্ন অনলাইনে ও এই শিরোনামে সংবাদটি প্রকাশিত হয়। সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ার পর টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের। ১৯ ডিসেম্বর দুপুর ১.৩০ টার সময় “ভোজন রেস্তোরায়” বিআরটিসির লোকজন মোল্লা নাছির্রকে ডেকে আনেন। তখন জনৈক হাসানও ভোজন রেস্তোরাঁয় ছিলন। একটু পরেই বিআরটিসি চেয়ারম্যানের নির্দেশে প্রতিষ্ঠানটির জিএম (জেনারেল মেনেজার) মেজর জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে পর পর প্রায় ৩০/৩৫ জন এসে শারীরিকভাবে সন্ত্রাসী কায়দায় লাঞ্ছিত করেন সাংবাদিক মোল্লা নাছির কে। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, মেজর জাহাঙ্গীর, জিএম (কারিগরী), বিআরটিসির নেতৃত্বে তার সাথে আমজাদ হোসেন, জিএম একাউন্টস (উপ সচিব), মোঃ ফারুক হোসেন, ডিজিএম, আশরাফুল ইসলাম, ডিজিএম, জামসেদ আলী, ডিপো ম্যানেজার (বরিশাল), জাহাঙ্গীর হোসেন, তেজগাঁও ট্রেনিং সেন্টার, সজিব, ম্যানেজার, মিরপুর ডিপো, মোঃ মোশারফ হোসেন, ম্যানেজার, মতিঝিল ডিপো, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মোঃ মিজান, তাকমির, সাব ইন্সপেক্টর, পল্টন থানা গোয়েন্দা বিভাগ পরিচয় দানকারীসহ আরো মেজিস্ট্রেট পরিচয় দানকারী দুই ব্যাক্তি অনেকে আমাকে পুরানা পল্টন আজাদ এর গলীতে ভোজন রেস্তোরা থেকে উঠিয়ে “এই বাংলা” অফিসে নিয়ে যায়। আমাকে তারা প্রথমে ভোজন রেস্তোরায় শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করে। আমাকে রক্ষা করতে গিয়ে জনৈক মোঃ আবুল হাসানকেও কিলঘুষি মেরে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে এই বাংলা পত্রিকায় মেজর জাহাঙ্গীর ও আমজাদের নেতৃত্বে আমাকে জোর করে ভয় ভীতি দেখিয়ে আমার কাছ থেকে ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় খবর প্রকাশ না করার শর্তে “এই বাংলা” পত্রিকার প্যাডে একটি অঙ্গীকারনামা নেন এবং জনৈক আবুল হাসান আমাকে কোনো তথ্য সরবরাহ করেছে কিনা বার বার চাপ দিয়ে জিজ্ঞেস করলে তখন আমি তাদেরকে স্পষ্টভাবে বলি সকল তথ্য আমি দূদক থেকে সংগ্রহ করেছি। মেজর জাহাঙ্গীর আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন এই বলেও শাসান র্যাবের সিও এবং র্যাব-৩ এর কমান্ডার তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। কোন কথা বললে পাখির মতো তুলে নিয়ে যাবে এবং বলে বেশি বাড়লে গায়েব করে ফেলবে। ভোজন রেস্তোরার সিসিটিভি ফুটেজে, আজাদ প্রোডাক্টস, মুক্তি ভবনের ফুটেজ ও এল মল্লিক কমপ্লেক্স এর সিসিটিভির ফুটেজ দুপুর ১.৩০-৩.০০ টার ফুটেজ দেখলে বিষয়টি
স্পষ্ট হয়ে যাবে। এ ঘটণা প্রেক্ষিতে মোল্লা নাছির পল্টন থানায় একটি সাধারণ ডাইরী জমা দেয়।গত ২০ডিসেম্বর পল্টন থানা ডায়রীটি জমা দিলেও রহস্য জনক কারনে এখন নথিভূক্ত করে নি। কী রহস্যের কারনে অভিযোগটি নথিভূক্ত হচ্ছে না এটি একটি বড় প্রশ্ন। বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে, মেজর জাহাঙ্গীরের সাধারন ডায়রীটি যাতে করতে না পারে সে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মেজর জাহাঙ্গীরের বিআরটিসিতে চেয়ারম্যানের সহযোগী হয়ে যে সকল কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে তার দায়ভার কী বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বা র্যাব সিও বহন করবে?
Discussion about this post