স্টাফ রিপোর্টার:
২৮ অক্টোবর বিএনপি-জামাতের নাশকতা, অগ্নিসন্ত্রাস ও পুলিশকে পিটিয়ে হত্যার পর থেকে রাজপথ থেকে বিএনপি-জামায়াত একপ্রকার বিদায় নিয়েছে। সন্ত্রাসী কার্মকান্ডের কারণে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিএনপির অনেক নেতা বর্তমানে কারাগারে। অনেকে আত্মগোপনে চলে গেছে। দু’একটি ঝটিকা মিছিল এবং প্রতি সপ্তাহে রবি-সোমবার ও বুধ-বৃহস্পতিবার অবরোধ বা হরতালের ঘোষণা এবং গাড়িতে আগুন দেওয়ার মধ্যেই বিএনপির রাজনীতি সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। কিন্তু বসে নেই প্রশাসন ও সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিএনপি-জামায়াতের কর্মী, সমর্থক ও দলীয় কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ টেলিভিশন বিটিভি একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে বিটিভির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি বিটিভির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম হিসেবে দেশে একটি নির্বাচনী আবহাওয়া তৈরী করা, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার ব্যাপারে উৎসাহিত করা, নির্বাচন বিরোধী গোষ্ঠীর অপপ্রচার মোকাবিলা করা, একই সাথে হরতাল-অবরোধ অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনমত তৈরী করার ক্ষেত্রে বিটিভির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সরকার ও নির্বাচন বিরোধী বিএনপি-জামায়াতের একটি চক্র নানা বাঁধা ও প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে বিটিভির ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিগত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায়। কিন্তু মনে হয়েছে বিটিভির কোন অভিভাবক নেই। যাদেরকেই বিভিন্ন সময়ে মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তারা শুধু চাকুরিই করে গেছেন, কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশের সাথে তাল মিলিয়ে বিটিভিকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। বিটিভি নানা সমস্যা ও সংকট নিয়ে একটি শ্বেতহস্তী হয়ে কোনভাবে টিকে আছে। বছরে জনগণের প্রায় ৩০০ কোটি টাকার মত খরচ হলেও এই প্রতিষ্ঠানের যথাযথ ভূমিকা নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন রয়ে গেছে। বিগত ১৫ বছরে তেমন কোন জনবল নিয়োগ হয়নি। অথচ রয়েছে দক্ষ জনবলের অভাব। বিগত বিএনপি-জামায়াতের সরকারের আমলে হাওয়া ভবনের নির্দেশে যাদেরকে বিটিভিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এদেরকে নানাভাবে পৃষ্টপোষকতা করা হয়েছে। এরাই এখন জোটবন্ধ হয়ে বিটিভি চালাচ্ছে। এক কথায় বিটিভি বলতে যেটা বোঝায় বিটিভি ঢাকা কেন্দ্র (বিটিভি ন্যাশনাল) এবং বিটিভি ওয়ার্ল্ড এখন বিএনপি-জামায়াতের নিয়ন্ত্রণে। সামনে নির্বাচন বিটিভির কাছে কোন ইস্যু নয়, সিনেমা, নাটক নির্মাণ ও গানের অডিশন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিটিভির কর্মকর্তারা। গানের অডিশন পুরোটাই ছাত্রজীবনে শিবির ও ছাত্রদল করা এক বিএনপি ক্যাডার মোল্লা আবু তৌহিদের নিয়ন্ত্রণে। শোনা যাচ্ছে টাকার বিনিময়ে তিনি অডিশনে শিল্পীদের উত্তীর্ণ করিয়ে দিচ্ছেন। অন্যদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন পর্যন্ত কোন পরিকল্পনাই গ্রহন করেনি বিটিভি। কোন সভাই হয়নি এখন পর্যন্ত।
বিটিভির ঢাকা কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ। ঢাকা কেন্দ্রের শিল্পী সম্মানী, অনুষ্ঠান নির্মাণ থেকে শুরু সকল ব্যয় তিনিই নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। কিন্তু জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে মাহফুজা আক্তার দায়িত্ব পালন না করে অনুষ্ঠান নির্মাণে ছায়া প্রযোজক হিসেবে কাজ করছেন। তার বিরুদ্ধে রয়েছে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ। সরকারি একটি গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী তিনি বিএনপির কট্টর সমর্থক। কিন্তু বিগত বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে তৎকালীন বিটিভির মহাপরিচালকের মাধ্যমে কিছু সভায় অংশগ্রহণ করে নিজেকে আওয়ামী লীগ সমর্থক হিসেবে পরিচয় দিয়ে বেড়ান। রংপুরে তার এক বোনকে দিয়ে নিজেকে আওয়ামী পরিবার হিসেবে জাহির করেন। কিন্তু বিটিভি ঢাকা কেন্দ্রে যোগদান করেই তিনি বঙ্গবন্ধুর ছবির অবমাননা করে বসেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবির পাশে নিজের ছবি স্থাপন করে নজিরবিহীন কান্ড ঘটান। প্রায় ১০ দিনের মত এই ছবি তার মাথার ওপর ঝুলে থাকার পর তিনি অস্বীকার করেছেন এই ছবি কে বা কারা ঝুলিয়েছে তা তিনি জানেন না।
মাহফুজা আক্তার জেনারেল ম্যানেজার, বিটিভি ঢাকা কেন্দ্রে সাময়িক চলতি দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। অথচ। কয়েকমাস আগেই তার সাময়িক চলতি দায়িত্বের মেয়াদ অতিক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে তিনি অবৈধভাবে পদে আছেন। তিনি ছাত্র জীবনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর রফিকুল আলম রুমী এর অধীনে থিসিস করেছেন। প্রফেসর রফিকুল আলম রুমী বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে এসএসএফ এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ফাতমী আহামদ এর চাচাতো ভাই। প্রফেসর রুমী বিএনপি মতাদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন এবং তার প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে মাহফুজা আক্তার ছাত্রজীবনে বিএনপি মতাদর্শী হয়েছিলেন এবং প্রফেসর রুমীর কাছ থেকে নানা ধরনের অনৈতিক সুবিধা নিতেন। বিটিভিতেও তিনি বিএনপি মতাদর্শী বলে সকলেই তাকে জানেন। ২০১৯ সালের গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে মাহফুজা আক্তার সম্পর্কে এসব কথা বলা হয়েছে। ২০০৬ সালে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে তার বিটিভিতে চাকুরী হয়। ২০০৭ সালে তিনি বিটিভিতে যোগদান করেন। বিটিভিতে মাহফুজা আক্তারের চাকুরী হওয়ার পেছনে প্রফেসর রফিকুল আলম রুমী, এসএসএফ এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ফাতমী আহামদ এবং পিএসসির একজন সদস্য যিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি সমর্থক একজন শিক্ষক ছিলেন তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা পেয়েছেন। কয়েক বছর আগে প্রেগ্রাম ম্যানেজার হিসেবে তার প্রমোশন আটকে গিয়েছিল সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের কারণে। বহু চেষ্টা করেও সে বিএনপির সাথে তার সম্পৃক্ততার বিষয়টি রিপোর্ট থেকে বাদ দিতে পারেনি।
২০২২ সালে চট্টগ্রাম কেন্দ্রে জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে চাকুরীকালীন এক বছর সময়ে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক
প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে দুদকের একটি অভিযোগ বর্তমানে বিটিভিতে তদন্তাধীন রয়েছে। বর্তমানে বিটিভি ঢাকা কেন্দ্রে বিগত অর্থবছরে (২০২২-২৩) প্রায় ১৩ কোটি টাকারও বেশি অতিরিক্ত খরচ ও লুটপাট করেছেন যা সরকারি আর্থিক শৃংখলার পরিপন্থী। এ ব্যাপারে বিটিভির সদর দপ্তর থেকে তদন্ত করা হলেও তদন্ত প্রতিবেদনটি হিমাগারে পড়ে আছে।
নির্বাচনের আগে বর্তমান গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বিটিভি পুরোপুরি স্থবির হয়ে পড়েছে। বিগত এপ্রিল মাস থেকে জুন পর্যন্ত অর্ধেক অনুষ্ঠান রেকর্ডিং বন্ধ ছিল। ৬ মাস শিল্পী সন্মানী প্রদানও বন্ধ ছিল যা বিটিভির ইতিহাসে নজীরবিহীন। বিটিভি ঢাকা কেন্দ্র পরিচালনা করার মত নূন্যতম আর্থিক ও প্রশাসনিক কোন যোগ্যতা সক্ষমতা ও অভিজ্ঞতা কোনটাই মাহফুজা আক্তারের নেই। বিগত জুলাই মাস থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত তার অলিখিত নির্দেশনায় বিটিভির ৮০ শতাংশ অনুষ্ঠানের প্রচার বন্ধ ছিল। অল্প কিছু লাইভ অনুষ্ঠান ছাড়া বাকি সব পুনঃপ্রচার করা হয়েছে। যার ফলে বিটিভির এই সময়ে নির্বাচনকেন্দ্রিক কোন অনুষ্ঠান নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। বিটিভি ঢাকা কেন্দ্রে ছাত্র জীবনে যে সকল কর্মকর্তা শিবির ও ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিল তাদেরকে তিনি নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে নিজের দল ভারী করছেন। নির্বাচনের আগে বিটিভির গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারনী অনেক অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন এবং নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনকেন্দ্রিক নতুন অনুষ্ঠান প্রচারে নানা ধরনের বাঁধা তৈরী করছেন। ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি- জামাত শাসনামলে নির্যাতিত মানুষদের সাক্ষাৎকারভিত্তিক অনুষ্ঠান “ফিরে দেখা” বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উন্নয়নমূলক অনুষ্ঠান “বদলে গেছে বাংলাদেশ” এর রেকডিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল কিছুদিন আগে। পরে চাপে পরে আবার চালু করতে বাধ্য হন জেনারেল ম্যানেজার। বিটিভির সদর দপ্তর, মহাপরিচালক এবং উর্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা এবং অফিসিয়াল আদেশও তিনি মানেন না। তার সার্বিক কর্মকান্ড বর্তমান সরকারের নীতিমালার সাথে মোটেই সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
অন্যদিকে মোহাম্মদ মোল্লা আবু তৌহিদ কন্ট্রোলার/প্রোগ্রাম ম্যানেজার, বিটিভি ঢাকা কেন্দ্র ছাত্র জীবনে বাগেরহাট জেলার রামপাল কলেজে পড়াশুনা করার সময় তিনি প্রথমে ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সাথে যুক্ত থেকে পরবর্তীতে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ১৯৯১-৯২ সালে তিনি রামপাল কলেজ শাখা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ছিলেন। তার পিতা-মাতাসহ আত্মীয়-স্বজন অধিকাংশই বিএনপি সমর্থক। তার এই রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে তাকে গত জানুয়ারী মাসে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রে জিএম হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। নির্বাচনের আগে তিনি ঢাকা কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার মাহফুজা আক্তারের সাথে যৌথভাবে বিটিভিতে শিবির ও ছাত্রদল করা কর্মকর্তাদের সংগঠিত করছেন। কিছুদিন আগেও তিনি প্রচার করে বেড়িয়েছেন যে, বর্তমান সরকার আর বেশিদিন নেই। বর্তমানে তিনি গানের অনুষ্ঠানের প্রোগ্রাম ম্যানেজার থাকার সুবাদে গানের অনুষ্ঠানের সংশ্লিষ্ঠ প্রযোজকদের নিকট থেকে অর্থের বিনিময়ে অনুষ্ঠানের বাজেট অনুমোদন দিয়ে থাকেন এবং গানের শিল্পীদের নিকট থেকে উৎকোচ গ্রহন ও নারী শিল্পীদের সাথে অসাদাচরণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
মো. মাইন উদ্দিন বর্তমানে ঢাকা কেন্দ্রে নিউজ এডিটর হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি ছাত্র জীবনে বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মহসিন হলে তিনি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সক্রিয় রাজনীতি করতেন। মহসিন হল শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। মাইন উদ্দিন ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে কাজ করেছেন। তিনি কক্সবাজারের এমপি সালাউদ্দিন আহমেদ এর বিশেষ সহকারী ছিলেন। মাইন উদ্দিন বিএনপি নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের বার্তা বিভাগের প্রযোজক হিসেবে যোগদান করেন। মাইন উদ্দিন বিএনপির বিশেষ আস্থাভাজন হওয়ায় “হাওয়া ভবন” এর সহায়তায় ২০০১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রেস উইং এ যোগদান করেন এবং ২০০৭ সাল পর্যন্ত বিটিভির তৎকালীন নির্বাহী প্রযোজক নুরুল আজম পবনের সাথে (বর্তমানে বার্তা সম্পাদক তবে চট্টগ্রাম তথ্য অফিসে সংযুক্ত) খালেদা জিয়ার বিশেষ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেন। এ সময় তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কুৎসা রটনা করে বানোয়াট বিভিন্ন রিপোর্ট তৈরী করে বাংলাদেশ টেলিভিশনে ব্যাপক প্রচার করেন। বিএনপি- জামাত জোট সরকারের আমলে মাইন উদ্দিন ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচারণা চালান। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে বিএনপি’র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে তাকে বিটিভি থেকে “নিমকো’তে বদলী করা হয়। পরবর্তীতে তাকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রে বদলী করা হয়। শুধু মাইন উদ্দিন নন, তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও বিএনপি রাজনীতির সাথে যুক্ত। গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী মাইন উদ্দিন বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৯ সালে তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়নি।
বিটিভি ঢাকা কেন্দ্রের সাধারণ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার মাহফুজা আক্তার বিএনপি-জামায়াত অনুসারীদের তার দেহরক্ষী হিসেবে একসাথে নিয়ে টেলিভিশনে সর্বত্র ঘুরে বেড়ান, বিভিন্ন সভায় একসাথে যোগ দেন এবং কেউ তার অনুগত না হলেই তাকে বদলী ও অন্যান্য হয়রানির হুমকি দেন। টাকার বিনিময়ে মন্ত্রনালয়সহ বিটিভির উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে তিনি ম্যানেজ করে ফেলেছেন সুতরাং কেউ তার কিছুই করতে পারবেনা বলে দম্ভ দেখান। এখন নির্বাচনের আগে রাজপথে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতার রাজনীতির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ও বর্তমান সরকার যে কঠোরতা দেখাচ্ছে সেক্ষেত্রে নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান বিটিভিতে বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডারদের প্রকাশ্য অপতৎপরতা সম্পর্কে তথ্য মন্ত্রনালয় নীরব কেন সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
Discussion about this post