রাকিব হোসেন মিলন
বিশেষ প্রতিনিধি।
রাজধানীর সবুজবাগে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নাশকতা ও পল্লবীতে বাসে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ।
বুধবার সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠন দলগুলোর হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি চলছে। এর প্রেক্ষিতে গত ৫ নভেম্বর সবুজবাগের গ্রীণ মডেল টাউনের খালপাড়ে কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী ককটেল বিস্ফোরণ করে বিশৃঙ্খলা ও নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করে। সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় সবুজবাগ থানা পুলিশ। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুষ্কৃতিকারীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল হতে ১টি বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ, ১টি অবিস্ফোরিত ককটেল, ১টি পেট্রোল বোমা, ৫০০ মি.লি. পেট্রোল, ১টি মোটরসাইকেল ও ১টি হেলমেট উদ্ধার করে।
পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নাশকতা সৃষ্টিকারী মূলহোতা মোঃ শামীম মাহমুদকে গতকাল মুগদা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে সবুজবাগ থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত শামীমকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আরো জানান, সে বিভিন্ন সময় সরকার বিরোধী রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে জ্বালাও পোড়াও ও ভাঙচুর করে নাশকতা করে আসছিলো। গত ২৮ অক্টোবরে পল্টন এলাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে সে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে নয়াপল্টন এলাকায় একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। সে বিএনপির মহাসমাবেশে যোগ দিয়ে নাশকতা করার জন্য ২৬ অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মাহমুদ জুয়েলের নির্দেশে শনির আখড়ার দনিয়া থেকে ককটেল ভর্তি ব্যাগ সংগ্রহ করে নয়াপল্টনে অপর বিএনপি কর্মী রিয়াজের কাছে রাখে। এরপর বিএনপির মহাসমাবেশের দিন ককটেল ভর্তি ব্যাগ নিয়ে নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় নয়াপল্টন এলাকায় নাশকতা চালায় শামীম।
জানা যায়, গ্রেফতারকৃত শামীম মাহমুদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ২৭টি মামলা রয়েছে।
অপর এক ঘটনায়, মঙ্গলবার ভোরে পল্লবীর সেকশন-১১-তে রাস্তায় পার্কিং করা বসুমতি পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে মোঃ মারুফকে গ্রেফতার করে পল্লবী থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত মারুফকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্দেশে বাসে আগুন দেয়। সে আরও জানায়, এই কাজের জন্য বিএনপি নেতাকর্মীরা তাকে তিন হাজার টাকা দিয়েছে।
এ সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাবৃন্দ, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post