আরিফ হোসেন
লক্ষ্মীপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় করা দুই মামলায় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি এবং একই মামলায় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমান, ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনসহ নয় নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
রোববার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দা আমেনা ফারহিন এই আদেশ দেন। এর আগে ওই দুই মামলায় আসামিরা হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের জামিনে ছিলেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়া ও জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাবুদ্দিন সাবু অসুস্থ থাকায় তাদের আইনজীবী আদালতে সময় চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় আদালত আবেদন না মঞ্জুর করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আসামিদের আইনজীবী ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আহাম্মদ ফৌরদোস মানিক অভিযোগ করে বলেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় আসামিরা হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন। আজ আদালত তাদের জামিন আবেদন নাকচ করেছেন। আসামিরা ন্যায় বিচার পায়নি।’
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জসিম উদ্দিন বলেন, ‘পুলিশের দায়ের করা বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইন, সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশকে মারধর করার দুই মামলায় আসামিদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া মামলার অন্য তিন আসামি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আবুল খায়ের ভূইয়া ও সাহাবুদ্দিন সাবু আদালত উপস্থিত না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।’
এদিকে আদালত প্রাঙ্গণে নেতা কর্মীদের মুক্তির দাবিতে বিএনপি, যুবদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এ সময় বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, যুবদল নেতা আবদুল হালিম হুমায়ন প্রমুখ।
গত ১৮ জুলাই কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপি শহরের গোডাউন রোডে পদযাত্রা বের করে বিএনপির নেতা কর্মীরা। পদযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ঝুমুর স্টেশনের দিকে যাওয়ার সময় রামগতি সড়কের আধুনিক হাসপাতালের সামনে গেলে পুলিশ বাধাঁ দেয়।
এতে নেতা কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে জেলা ছাত্রদলের সভাপতিসহ অন্তত ৫০ জন গুলিবিদ্ধ হন। আহত হন আরও দুই শতাধিক নেতা কর্মী। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহেল রানা ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিনসহ ৫০ পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।
Discussion about this post