মিজানুর রহমান
লালমনিরহাট জেলা
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আর কোন দশ দফা নয়, এখন একটাই দাবী শেখ হাসিনার পদত্যাগ। সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন এবং নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে, তবেই বিএনপি নির্বাচনে যাবে। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি, দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির প্রতিবাদ সহ দশ দফা দাবীতে শনিবার বিকালে লালমনিরহাট জেলা বিএনপির আয়োজনে জেলা কালেক্টরেট মাঠে জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। মীর্জা ফখরুল বলেন, এই নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠ ভোটের ক্ষমতা নেই, গাইবান্ধায় সম্প্রতি নির্বাচনে তা প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বলেন, দেশে কোন উন্নয়ন হয়নি। উন্নয়ন হয়েছে আওয়ামীলীগের এমপি, মন্ত্রী ও নেতাদের। আওয়ামীলীগের অনেক নেতা সাইকেল চালক থেকে গাড়ি বাড়ির মালিক হয়েছে। আর বিএনপির ৩৫ লাখ নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিতে সাধারন মানুষ দিশেহারা। আওয়ামীলীগ সরকার ঘরে ঘরে চাকরি আর ১০টাকা কেজি দরে চাল খাওয়ানোর কথা বলে জনগণের সাথে প্রতারণা করেছে।
কৃষক আন্দোলনের নেতা নুরল দীনের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আপনাদের এই এলাকায় তার বাড়ি। যিনি কৃষক আন্দোলনে ডাক দিয়েছিলেন- কোনটে বাহে জাগো সবায়। আজকে আবার সেই ডাক এসেছে। আজকে আবার কারাগারের অভ্যান্তর থেকে গৃহবন্দী থেকে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে সেই ডাক দিতে হবে”।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব বলেছেন- ‘ফয়সালা কবে রাজ পথে। ফিডব্যাক বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশকে আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীন করেছিলাম। সেই বাংলাদেশ, মুক্তিযোদ্ধারা লড়াই করেছিলে যে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে গড়তে। সেই বাংলাদেশকে আমরা ফিরিয়ে আনবো”।
কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, ও জেলা বিএনপির সভাপতি আসাদুল হাবীব দুলুর সভাপতিত্বে জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, বহু নিযার্তন আমরা গত ১৭ বছর থেকে সহ্য করেছি। বহু অত্যাচার আমাদের উপরে হয়েছে। খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে তৃণমুলের একজন সাধারণ কর্মীর নামেও শুধু মামলা আর মামলা। পরিস্কার বলে দেই মামলা হামলা আর গুম করে আওয়ামীলীগ আমাদের দমাতে পারবে না।
আওয়ামীলীগ নাম শুনলেই জনগণ এখন ভয় পায়। জনগণ তাদের আর ভালোবাসে না। যারা আওয়ামীলীগের হালুয়া রুটি খেয়েছে তারা ছাড়া সাধারণ জনগণ তাদের সাথে নেই।
আওয়ামীলীগ ত্রাসের রাজনীতি করে। তারা রঙিন চশমা পরে আবারও ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে। তাদের স্বপ্ন জনগণ আর পুরন হতে দেবে না।
জেলা বিএনপির সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলা‘র সঞ্চালনায় জনসভায় বিএনপির কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার হাসান রাজীব প্রধান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমান, বিএনপি নেতা একেএম মমিনুল হক, রোকন উদ্দিন বাবুল প্রমূখ বক্তব্য দেন। জনসভায় লালমনিরহাট জেলাসহ রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলার হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।
Discussion about this post