আকতার হোসেন।
খুলনা ব্যুরো
২২ মার্চ বুধবার সারা দেশের সাথে একযোগে স্থায়ী ঠিকানা পেয়েছেন খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার ভূমিহীন-গৃহহীনরা। বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তৃতীয় পর্যায়ের অবশিষ্ট ৭৯টি এবং চতুর্থ পর্যায়ের ৭৫৭ টি সহ মোট ৮৩৬ টি ভূমিহীন- গৃহহীন পরিবারের হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে হস্তান্তর করবেন। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে দিঘলিয়া উপজেলার তৃতীয় পর্যায়ের অবশিষ্ট ৬৫ টি এবং চতুর্থ পর্যায়ের ১১৫টি সহ মোট ১৮০ টি ভূমিহীন- গৃহহীন পরিবারের হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হবে।
গৃহহীনদের ঘর দেয়ার বঙ্গবন্ধুর ইচ্ছা পূরণ করছে আওয়ামীলীগ সরকার। মুজিব বর্ষের আয়োজন সার্থক করতে নেয়া হয়েছে এই উদ্যোগ। এদিকে প্রকৃত গৃহহীনরাই যাতে এই ঘরে ঠাই পান সে লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। যাচাই-বাছাই করা হয়েছে কয়েক ধাপে। প্রকল্পটি সরাসরি তদারক ও বাস্তবায়ন করছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। সূত্র অনুযায়ী ২০২০ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছিলেন, মুজিব বর্ষে দেশে কোন মানুষ গৃহহীন থাকবে না। সরকার সব ভূমিহীন এবং গৃহহীন মানুষকে ঘর তৈরি করে দেবে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের আওতায় দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি প্রকল্প, ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতায় গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন প্রকল্প-২ , তবে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বিভাগ ও সংস্থা যৌথভাবে গৃহহীনদের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসকগন এবং উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ মাঠ পর্যায়ে প্রকল্পের অগ্রগতি তদারকি করছেন। ইতিমধ্যে এসব প্রকল্পের অনেক বাড়িঘর সংশ্লিষ্টদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আবার অনেক বাড়ি হস্তান্তরের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় ভূমিহীন এবং গৃহহীন পরিবার মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাওয়ায় তারা অনেক খুশি । গৃহহীনরা জানান, "বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আমাদের মাথা গোজার ঠাই করে দিয়েছেন। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত এখানে কাটিয়ে দিতে পারবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।" এ সময় তারা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্থ্যতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার খান মাসুম বিল্লাহ আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং এ জানান- ক শ্রেণীর পরিবার যার জমি ও ঘর কিছুই নেই এমন ভূমিহীন- গৃহহীন,ছিন্নমূল ও অসহায় দরিদ্র পরিবার এবং খ শ্রেণীর পরিবার যার সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ জমির সংস্থান আছে কিন্তু ঘর নেই এমন পরিবার। ক শ্রেণীর পরিবারের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারি নিষ্কণ্টক খাস জমি, সরকারিভাবে ক্রয়-কৃত জমি, সরকারের অনুকূলে কারো দানকৃত জমি অথবা রিজিউমকৃত জমিতে ভূমিহীন- গৃহীনদের দুই শতক জমিসহ সেমি পাকা একক গৃহ প্রদানের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। খাস জমির সংস্থান না থাকায় দীঘলিয়া উপজেলায় ২. ৪১৮ একর জমি ক্রয় করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো জানানো হয়, দিঘলিয়া উপজেলায় মোট ৩৯০ টি ভূমিহীন- গৃহহীন পরিবার রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৭০ টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩০ টি, আগামীকাল তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ের ১৮০ টি ঘর হস্তান্তর করা হলে এ উপজেলায় বাকি থাকবে ৬৬ ঘর যা আগামী জুন মাসের মধ্যে নির্মাণ সম্পন্ন হবে।
দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খান মাসুম বিল্লাহর সভাপতিত্বে প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুর রহমান; প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আরিফ হোসেন; সহকারী প্রোগ্রামার পুষ্পেন্দু দাস; দিঘলিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম; সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান তারেকসহ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রাকিব হোসেন মিলন
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: দিপা আক্তার
মোবাইলঃ 01634559838
মোবাইলঃ 01944701754
Email:mrheng1971@gmail.com
২০২২. সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।দৈনিক বাংলাদেশ নিউজ
Developer by: Md Tushar Emran