বাংলাদেশ নিউজ রিপোর্ট
অভয়াশ্রম মৌসুমে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে মাছ ধরার সময় ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার মিটার কারেন্ট জালসহ ৩ জেলেকে আটক করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ১০ লক্ষ টাকা। একই সাথে মাছধরার একটি বড় নৌকা ও ১১০ কেজি জাটকা ও ভিন্ন জাতের মাছ জব্ধ করা হয়। পরে বুধবার (০৮ মার্চ) বিকেলে সদর উপজেলার মজুচৌধুরীর হাট এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে জামাল নামে আটক জেলেদের প্রধানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এসএম সিরাজুল সালেহীন। এসময় জয়নাল ও মনির হোসেন নামে বাকী দুই জেলেকে মুসলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
এছাড়াও জব্দকৃত ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল আগুনে পুড়ে নষ্ট করা হয়। জব্দকৃত নৌকা নিলামে বিক্রি এবং ১১০ কেজি মাছ অসহায়দের মাঝে বিতরণ করা হবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট। এদিকে একই সময় মাছঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিষ্ফোরক লাইসেন্স না থাকায় মেসার্স জামিদ ট্রেডার্স নামে তেলের দোকানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।.
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম, মজুচৌধুরীর হাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবু তাহের মিয়া ও কোষ্টগার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার পেটি অফিসার এস আসলামুল হক.
এর আগে ভোর রাত থেকে বিকেল পর্যন্ত মেঘনা নদীতে যৌথ অভিযান চালিয়ে তিন জেলেকে আটক করেন জেলা মৎস্য বিভাগ, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড। দণ্ডপ্রাপ্ত জামাল সদর উপজেলার মধ্য চর রমনী মোহন গ্রামের হাফিজ আহাম্মেদের ছেলে। অপর জেলে জয়নাল ও মনির হোসেন একই এলাকার নথু মাঝি ও মুখবুল শিকদারের ছেলে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, মার্চ-এপ্রিল দুই মাস অভয়াশ্রম মৌসুমে নদীতে সব ধরণের মাছ ধরা নিষিদ্ধ। সরকারের এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য কোষ্টগার্ড ও নৌ-পুলিশকে সাথে নিয়ে রাত তিনটা থেকে দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে তিন জনকে আটক করা হয়। এসময় তিন লক্ষ ৭৫ হাজার মিটার জাল, একটি বড় নৌকা ও ১১০ কেজি মাছসহ প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা মূল্যের সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অর্থদণ্ড প্রদান সহ জালগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও মাছঘাট এলাকায় একটি বরফ কলের বৈদ্যুতিক লাইন বিচ্ছিন্ন করে সতর্ক করা হয়। সরকারের নির্দেশনা বাস্তায়নের লক্ষে এ অভিযান চলবে বলে জানান লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস কর্মকর্তা।
Discussion about this post