আর এইচ মিলন
বাংলাদেশে দ্বীনি প্রতিষ্ঠান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো বরাবরের মতো আস্থা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।ছোট বেলা থেকে মেধা ও নৈতিকতার সমন্বয়ে বাচ্চাদের কে গড়ে তুলছে এ দেশের মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থা।সামাজিক অবক্ষয় রোধে কাজ করছেন আলেমগন।বিশেষ করে সমাজ থেকে ইভটিজিং,ইয়াবা,মাদক ও নেশা থেকে দূরে রাখতে ধর্মীয় শিক্ষার বিকল্প নেই বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনরা।বিভিন্ন
শ্রেণি পেশার মানুষ তাঁদের প্রাণ প্রিয় সন্তানদের কে কুরআনের শিক্ষায় আলোকিত করতে মাদরাসায় পাঠান।মহিলাদের জন্য এমন ই এক অনন্য দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম তারবিয়াতুস সালিহাত মহিলা মাদরাসা।লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাগবাড়ি থেকে ৫০০ গজ অদূরে এমন ই প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন উদ্যোক্তাগন।নিজেরা দ্বীনি শিক্ষা গ্রহন করে অপরের মাঝে কুরআন সুন্নাহর জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে এই আয়োজন বলে জানিয়েছেন মাদরাসার পরিচালকগন।১২ নভেম্বর শনিবার সকাল বেলায় সরে জমিনে ঘুরে মাদরাসার প্রশংসনীয় বাস্তব চিত্র চোখে ধরা পড়ে।
সূযোগ্য মহিলা আলেমা শিক্ষকগনের মাধ্যমে চলছে মাদ্রাসাটির পাঠদান কার্যক্রম। ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই দ্বীনি প্রতিষ্ঠানে প্লে থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রম ও চমৎকার পাঠদান প্রক্রিয়া চলছে।মাদরাসাটি ঘুরে দেখা যায় বাংলা, গণিত,ইংরেজি অর্থাৎ আধুনিক ও ধর্মীয় শিক্ষার সমন্বয়ে চলছে মাদরাসার পাঠদান কার্যক্রম।বিভিন্ন অভিভাবকদের সাথে কথা বললে তাঁরা মাদ্রাসাটির ব্যাপক প্রশংসা করেন।খুব অল্প সময়ের মধ্যেই অত্যন্ত গুরুত্ব ও প্রশংসার সাথে এই দ্বীনি প্রতিষ্ঠানটি এগিয়ে চলছে বলে এলাকাবাসীর মন্তব্য।মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আজিজুর রহমানের সুন্দর আচরণের কারনে অন্যান্য শিক্ষক ও অভিভাবকগন অত্যন্ত সন্তুষ্ট।
নাজেরা,হিফয, নূরানী বিভাগের দক্ষ মহিলা শিক্ষক মন্ডলীর মাধ্যমে মাদ্রাসাটি পরিচালিত হয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা ছাড়িয়ে বিভিন্ন অঞ্চলে দ্বীনি খেদমত করার ইচ্ছা আছে পরিচালকদের।সুন্দর পাঠদান পরিচালনা করাতে অভিভাবকগন নিশ্চিন্তে তাঁদের সন্তানদের কে মানুষ বানানোর লক্ষ্যে এই প্রতিষ্ঠান টি পছন্দ করে নিয়েছেন।এলাকাবাসী বলেছেন মাদ্রাসা টি সুনামের সাথে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আজিজুর রহমান জানান মান সম্মত পাঠদানের ভিত্তিতে মাদ্রাসাটি পরিচালিত হয়ে আসছে।লক্ষ্মীপুর জেলায় শুধু মাত্র মহিলা শিক্ষক দ্বারা পরিচালিত এমন প্রতিষ্ঠান প্রথম। শিক্ষার মান ধরে রাখার লক্ষ্যে আমরা অত্যন্ত যত্নশীল। মান সম্মত পাঠদানের মাধ্যমে দ্বীনি খেদমত করাই আমাদের লক্ষ্য।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম সালাউদ্দিন টিপু বলেন দ্বীনি শিক্ষা প্রসারে মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উল্ল্যেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলছে।আমি উক্ত মাদ্রাসাটির জন্য শুভকামনা করছি।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমরান হোসেন বলেন সদর উপজেলায় বিভিন্ন কাওমী মাদরাসা গড়ে উঠেছে।সমাজ কে আলোকিত করতে কাওমী মাদরাসা অনবদ্যকর ভূমিকা পালন করছে বলে উল্লেখ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য যে তারবিয়াতুস সালিহাত মহিলা মাদরাসা মান সম্মত পাঠদান নিশ্চিতের ভিত্তিতে লক্ষ্মীপুর জেলা সহো বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দ্বীনি খেদমত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
Discussion about this post