নিজস্ব প্রতিবেদক
দ্বীনি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশে কাওমী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো বরাবরের মতো আস্থা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।বিভিন্ন
শ্রেণি পেশার মানুষ তাঁদের প্রাণ প্রিয় সন্তানদের কে কুরআনের শিক্ষায় আলোকিত করতে কাওমী মাদ্রাসায় পাঠান।লক্ষ্মীপুর জেলা সদরের পূর্ব চর মনসা,হিরামন বাজার এলাকায় এমন ই একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম দারুসুন্নাহ তা’লীমুল কুরআন মাদরাসা ও এতিমখানা।
১০ জন সূযোগ্য শিক্ষক ও ৩০০ জনের অধিক শিক্ষার্থী নিয়ে চলছে মাদ্রাসাটির পাঠদান কার্যক্রম। মাদ্রাসাটির সূযোগ্য সভাপতি ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা দক্ষতার সাথে উক্ত মাদ্রাসার পরিচালনা ও সার্বিক বিষয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।বাংলা, গণিত,ইংরেজি অর্থাৎ আধুনিক ও ধর্মীয় শিক্ষার সমন্বয়ে চলছে মাদ্রাসার পাঠদান কার্যক্রম।বিভিন্ন অভিভাবকদের সাথে কথা বললে তাঁরা মাদ্রাসাটির ব্যাপক প্রশংসা করেন।দীর্ঘ সময় ধরে অত্যন্ত গুরুত্ব ও প্রশংসার সাথে এই দ্বীনি প্রতিষ্ঠানটি এগিয়ে চলছে বলে এলাকাবাসীর মন্তব্য।
নাজেরা,হিফয, নূরানী, কিতাবখানা বিভাগের দক্ষ শিক্ষক মন্ডলীর মাধ্যমে মাদ্রাসাটি পরিচালিত হয়ে ইতিমধ্যে লক্ষ্মীপুর জেলা ছাড়িয়ে বিভিন্ন অঞ্চলে প্রশংসিত হয়েছে।সুন্দর পাঠদান পরিচালনা করাতে অভিভাবকগন নিশ্চিন্তে তাঁদের সন্তানদের কে মানুষ বানানোর লক্ষ্যে এই প্রতিষ্ঠান টি পছন্দ করে নিয়েছেন।
এতিম খানাটির পরিবেশ ও অনেক সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন।আবাসিক ছাত্রদের সাথে কথা বললে খাবারের মান সহো বিভিন্ন দিকের বিষয়ে তাঁরা সন্তোষ প্রকাশ করেন।বর্তমানে আবাসিকে প্রায় ১০০ জন শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন।
এলাকাবাসী বলেছেন মাদ্রাসা ও এতিম খানা টি সুনামের সাথে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশী লোকজন মাদ্রাসাটিতে সকলের মাধ্যমে অনুদান বাড়াতে উাদাত্ত আহবান জানান।
মাদ্রাসার মুহতামীম মাওলানা আকরাম উদ্দিন জানান বিভিন্ন দান অনুদানের ভিত্তিতে মাদ্রাসাটি পরিচালিত হয়ে আসছে।এতিমদের জন্য ক্যাপিটেশনের ভিত্তিতে সরকারি কিছু অনুদান পাই।এতিমদের জন্য নির্ধারিত চাল প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলেও জানান তিনি।এখন মসজিদ টি অর্ধ নির্মিত। তাই মসজিদে নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে দ্রুত ই নির্মাণের কাজ শেষ করতে সকলের সহযোগিতা কামানা করেন তিনি। তিনি মসজিদের চলমান ভবন নির্মাণের কাজে মুক্ত হস্তে সাহায্য করতে সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।সকল স্বচ্ছল ও ধনাঢ্যদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন দেশী বিদেশী সরকারি ও বেসরকারি সকল ধরনের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।সহযোগিতা পেলে আমরা প্রিয় মাদ্রাসাটির কাজ আরো বেশী এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।তিনি সকলের দোয়া কামনা করেন।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন টিপু বলেন দ্বীনি শিক্ষা প্রসারে মাদ্রাসা ও এতিম খানা টি উল্ল্যেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলছে বলে জানি।আমি উক্ত মাদ্রাসাটির জন্য শুভকামনা করছি।সমাজের বিত্তবানদের কে উক্ত মাদ্রাসায় সহযোগিতা করার জন্য তিনি অনুরোধ জানান।
লক্ষ্মীপুর জেলা ত্রান বিতরণ কর্মকর্তা ইউনুছ মিয়া বলেন ক্যাপিটেশানের ভিত্তিতে এতিমরা সকল সূযোগ সুবিধা পাবে।আমরা আরো সূযোগ সুবিধা বাড়িয়ে দিবো।
উল্লেখ্য যে দারুসুন্নাহ তা’লীমুল কুরআন মাদরাসা ও এতিমখানা থেকে প্রত্যেক বছর ৫/৬ জন ছাত্র হিফয সমপন্ন করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দ্বীনি খেদমত করে যাচ্ছেন।
Discussion about this post