হাবিব আহমেদ চৌধুরী
কুমিল্লা: কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের মনোনয়ন সংগ্রহ ও দাখিলের শেষ দিনে মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে মোট ১৬৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। মঙ্গলবার (১৭ মে) পর্যন্ত মেয়র পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন ছয়জন।
মনোনয়ন জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের দুজন প্রাথী। বিএনপি থেকেও দুজন মেয়র পদে লড়বেন।
বাকি দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
আওয়ামী লীগের হয়ে এবার মেয়র পদে লড়বেন কুমিল্লা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত।
আজ তিনি মনোনয়ন জমা দেন। কুমিল্লার দুইবারের মেয়র মনিরুল হক সাক্কুও মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
প্রথমবার স্বতন্ত্র ও দ্বিতীয়বার বিএনপি থেকে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। আজ তার পক্ষে ছোট ভাই আইনজীবী কায়মুল হক রিংকু মনোনয়নপত্র জমা দেন।
মেয়র পদে লড়তে তাদের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার। বিকেলে মনোনয়ন জমা দেন প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ আফজল খানের ছেলে কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ পারভেজ খান ইমরান। তার পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন জসিম উদ্দিন। তিনি দল মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচন করবেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাশেদুল ইসলাম ও নাগরিক ফোরাম সংগঠনের কামরুল আহসান বাবুল।
মনোনয়ন জমা দিয়ে নির্বাচন অফিসের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত। তিনি জানান, অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ। আমাদের কোনো গ্রুপিং নেই। সবাই এক হয়ে কাজ করে বিজয় আনবো। মাদকের পৃষ্ঠপোষকতার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এসব ভিত্তিহীন সংবাদ। আমরা মামলা দায়ের করেছি।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মাসুদ পারভেজ খান ইমরান জানান, দলীয় নেতাকর্মীরা চান আমি নির্বাচন করি। গত ১০ বছরে কুমিল্লায় দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন হয়নি। আমি আশাবাদী, জনগণ আমাকে নির্বাচিত করবে। শেষ পর্যন্ত আমি মাঠে থাকব।
মনিরুল হক সাক্কুর পক্ষে মনোনয়ন দাখিল করার পর তার ভাই আইনজীবী কায়মুল হক রিংকুকে দলের অন্য প্রার্থীর বিষয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। রিংকু বলেন, এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। কুমিল্লায় সাক্কুর মতো নেতা তৈরি হতে আরও পঞ্চাশ বছর লাগবে। তিনি দুইবার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। জনগণ এবারও তার কাজের প্রতিদান দেবে। আরও পরে নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং মাঠ নিয়ে কথা বলবো।
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, তিনি (মনিরুল হক সাক্কু) বিএনপিকে ধারণ করেন না। বিএনপিও তাকে এখন ধারণ করে না। তিনি আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করেন। গত ১০ বছরে তিনি কুমিল্লার তেমন উন্নয়ন করতে পারেননি। মানুষ পরিবর্তনে বিশ্বাসী। আশা করি, জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাকে বিজয়ী করবে।
তফসিল অনুযায়ী, কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল আজ। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে বৃহস্পতিবার (১৯ মে)। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৬ মে, বৃহস্পতিবার। প্রতীক বরাদ্দ হবে শুক্রবার (২৭ মে)। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৫ জুন। এবার দুই লাখ ২৯ হাজার ভোটার ইভিএম পদ্ধতিতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ২৭টি ওয়ার্ডের ১০৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
Discussion about this post