রাকিব হোসেন মিলন।
সিনিয়র রিপোর্টার
স্বামীকে তালাক দিয়ে দেবরকে বিয়ে করায় ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রী শহর বানুকে (৪৫) গলা কেটে হত্যা করেছেন প্রথম স্বামী খোকন আলী শেখ (৫৫)।রোববার সকালে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের স্টেডিয়ামের একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে খোকন আলী শেখকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ সুপার এ এইচ এম কামরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
খোকন শেখের বাড়ি বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার চর জলিক এলাকায়। নিহত শহর বানুর বাড়ি পঞ্চগড় জেলায়। লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের সিরাজ মিয়ার বাড়িতে নিহত শহর বানু তাঁর দ্বিতীয় স্বামী ফকির আলী শেখকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। ফকির ও খোকন সম্পর্কে সৎভাই হন।
পুলিশ জানায়, শহর বানু মাসখানেক আগে প্রথম স্বামী খোকনকে তালাক দিয়ে দেবর ফকিরকে বিয়ে করে লক্ষ্মীপুরে এসে ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন। খবর পেয়ে প্রথম স্বামী খোকন আজ সকালে ওই বাড়িতে যান। তিনি শহর বানুকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। তখন তাঁদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে শহর বানুকে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। ঘটনার আগেই কাজের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বেরিয়ে যান ফকির। তিনি ভাঙারি জিনিসপত্রের ব্যবসা করেন।
খোকনের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, খোকন ঢাকার আবদুল্লাহপুর এলাকায় কাঁচামালের (সবজি) ব্যবসা করতেন। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ওই এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন তাঁরা। খোকন ও শহর বানুর সংসারে তিন ছেলে আছে।
পার্শ্ববর্তী ভাড়াটে মিতু আক্তার জানান, সকালে খোকন ও বানু ঝগড়া করছিলেন। হঠাৎ বানু চিৎকার দিয়ে ওঠেন। এগিয়ে গিয়ে দেখেন, দরজা বন্ধ। একপর্যায়ে দরজা খুলে খোকন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন আশপাশের লোকজন তাঁকে আটক করে পুলিশে খবর দেন।
পুলিশ সুপার এ এইচ এম কামরুজ্জামান বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে ঘটনাটি ঘটেছে। খোকনের সৎভাই ফকির তাঁর স্ত্রীকে ভাগিয়ে এনে বিয়ে করেন। আজ তিনি লক্ষ্মীপুরে এসে সাবেক স্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। আগেও কয়েকবার তাঁদের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটেছিল। কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে খোকন ক্ষিপ্ত হয়ে শহর বানুকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রাকিব হোসেন মিলন
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: দিপা আক্তার
মোবাইলঃ 01634559838
মোবাইলঃ 01944701754
Email:mrheng1971@gmail.com
২০২২. সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।দৈনিক বাংলাদেশ নিউজ
Developer by: Md Tushar Emran