বর্তমান সরকার দেশের বিচার আইন আদালত সম্পূর্ণভাবে দলীয়করণ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আগের রাতে ভোট হয়েছে, নিজেদের পছন্দ মত লোককে পার্লামেন্টে বসানো হয়েছে। আমাদের শত শত নেতাকর্মীদের গুম করা হয়েছে। আমাদের গুম হওয়া নেতাকর্মীদের সন্তানরা তাকিয়ে থাকে, কখন তাদের বাবা ফিরে আসবে। শুধু আমাদেরই নয়, দেশের গণমাধ্যমেরও গলা চেপে ধরা হয়েছে। যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে থাকেন, তাহলে এত ভয় কেন?
মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা লিখতে পারবেন না। যদি লিখেন জেলে নেওয়া হবে, চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়া হবে। সংবাদকর্মীরা কীভাবে চলবে, সেটা নিয়ে এখন তারা আইন তৈরি করছে। এটা তাদের পুরোনো অভ্যাস। ৭৫ সালে একইভাবে আওয়ামী লীগ তাদের এ হত্যা গুম বন্ধ যখন কোনোভাবেই আড়াল করতে পারছিল না, তখন তারা বাকশাল করেছিল।
বুধবার বিকালে ইফতারের পূর্বে আড়াইহাজার উপজেলার পাচঁরুখীতে উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ফখরুল।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু।
এছাড়া এতে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এটিএম আব্দুল বারী, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনিরুল ইসলাম রবি, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাসুকুল ইসলাম রাজীব প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মীর্জা ফখরুল বলেন, এতই যদি উন্নয়ন করে থাকেন আর গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে থাকেন, তাহলে এত ভয় কেন? তারা কথায় কথায় মায়ের বুক খালি করে দেয়, সন্তানের কাছ থেকে পিতাকে গুম করে দেয়। প্রতিবছর তারা তিন চারবার করে দাম বাড়ায়। আর বিদ্যুতের দাম তো বাড়তেই আছে। একদিকে তারা দুর্নীতি করে আরেকদিকে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ায়। এদেশে একটা ভোট হয়েছে।
আপনারা সবাই জানেন কীভাবে ভোট হয়েছে। সেখানে তারা তাদের পছন্দের লোকদের বসিয়ে দিয়েছে। আজ আইন আদালত ধ্বংস হয়ে গেছে৷ এ আদালতের মাধ্যমেই আজ বেগম জিয়াকে জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তারেক রহমানের নামে কোনো প্রমান নেই, ২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় পরে তার নাম যুক্ত করা হয়েছে। উচ্চ আদালতে তিনি আবেদন করেছিলেন আমার কেস খারিজ করে দিন। সে মামলাটাকে তারা খারিজ করেননি। জোবায়েদা রহমানকেও তারা দেশে আসতে দিতে চান না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ৬শ এর অধিক নেতাকে গুম করে দিয়েছে। আজ ইলিয়াস আলীর মেয়ে ছেলে দরজার দিকে তাকিয়ে আছে কবে তাদের বাবা ফিরে আসবে। হাজার হাজার মানুষকে তারা হত্যা করেছে বিনা বিচারে। এভাবে এদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। কিছুক্ষণ আগে শুনলাম যারা এখানে আসছিল তাদের ওপর হামলা হয়েছে। এতই যদি উন্নয়ন করে থাকেন তাহলে ভয় পান কেন। একটা দল সম্মেলন করবে, সেটাকে ভাঙেন কেন। শেখ হাসিনাকে চ্যালেঞ্জ করছি। একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে দেখেন। এ দেশের মানুষ আপনাদের কে কতটুকু পছন্দ করে।
Discussion about this post