নিজস্ব প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির নেতা–কর্মীরা এখন তাঁদের শীর্ষ নেতাদের ব্যর্থ নেতৃত্ব থেকে মুক্তি চান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুঃসময়ের কথা বলে দেশের জনগণকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন। আসলে দেশে কোনো দুঃসময় নেই, দুঃসময় যাচ্ছে বিএনপির রাজনীতিতে। তাদের নেতা–কর্মীরা এখন হতাশ। শীর্ষ নেতাদের নেতৃত্ব ও সক্ষমতা নিয়ে তাঁরা সন্দিহান। বিএনপির নেতা–কর্মীরা এখন দিশাহারা পথিক। তাঁরা এখন বিএনপির শীর্ষ নেতাদের ব্যর্থ নেতৃত্ব থেকে মুক্তি চান।
ওবায়দুল কাদের সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন। গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতেই এই বিবৃতি দেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণ চায় বিএনপি আমলের দুঃশাসন ভুলে যেতে। ফলে জনগণ বারবার আওয়ামী লীগকেই বেছে নিয়েছে এবং বরাবরের মতো আগামী নির্বাচনেও জনগণ আওয়ামী লীগকেই বেছে নেবে। সেটা বুঝতে পেরেই বিএনপি এখন দুঃসহ যন্ত্রণায় ভুগছে।
পাকিস্তানে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলো ধারণ না করলে, না বুঝলে নাকি মুক্তি হবে না—বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সম্প্রতি বিএনপির মহাসচিবের এ ধরনের বক্তব্য থেকেই বোঝা যায়, তারা এখনো পাকিস্তানি ভাবধারার রাজনীতি থেকে বের হতে পারেনি। তাদের অন্তরে এখনো পাকিস্তান রয়ে গেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও বাংলাদেশের স্বাধীনতায় তারা বিশ্বাস করে না এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে না। বিএনপিকে বুঝতে হবে যে পাকিস্তানকে পরাজিত করে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। বাংলাদেশ আজ আর্থসামাজিক সব সূচকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে। তাই বাংলাদেশ আর পাকিস্তান হবে না।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপির কাজই হচ্ছে অপতৎপরতায় লিপ্ত থেকে দুরভিসন্ধিমূলক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জাতির কপালে একের পর এক কলঙ্কের তিলক পরানো। বিএনপি নির্বাচনের নামে আসলে কী চায়, সেটা তাদের জনগণের সামনে স্পষ্ট করতে হবে। তারা তাদের অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতা পরিবর্তনের উপায় হিসেবে যদি সত্যিকার অর্থে নির্বাচনে বিশ্বাস আনে, তাহলে তা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য শুভ লক্ষণ।
Discussion about this post