বাংলাদেশে চীনের ক্ষেপণাস্ত্র রক্ষণাবেক্ষণ কারখানা তৈরির বিষয়ে ভারতের গণমাধ্যমে প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন করলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বাংলাদেশে অতিতে এ ধরনের কোনো কিছু হয়নি এবং হওয়ার কোন সম্ভাবনাও নেই। তবে স্বাভাবিক ভাবেই একটি দেশ থেকে কোনো যন্ত্রাংশ ক্রয় করা হলে তা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে একটি সমঝোতা থাকে। কিন্তু এর বাইরে সংবাদে যা এসেছে এবং বাংলাদেশের কিছু গণমাধ্যম আরও উৎসাহী হয়ে এটাকে রং চড়িয়ে সংবাদ করেছেন, তার কোন ভিত্তি নেই।’
রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোন স্থাপনা হচ্ছে কি না? এর উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অতিতে এ রকম কোন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়নি। নতুন করে কোন স্থাপনা তৈরির পরিকল্পনা নেই।’
ক্ষেপণাস্ত্র রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো কেন্দ্র রয়েছে কি না বা তৈরি করা হবে কি না? জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কি আছে, সেটি আমরা সকলে জানি বা আমাদের জানার প্রয়োজন পরে না বা আমাদের জানার প্রয়োজন নেইও সেই অর্থে। কিন্তু আলাদাভাবে চায়না-বাংলাদেশ মেনটেন্যান্স সেন্টার বা চায়না-বাংলাদেশ মিসাইল মেনটেন্যান্স সেন্টার বা রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার এ রকম কিছু নেইও এবং নতুন করে তৈরির পরিকল্পনা নেই।’
ভারতের গণমাধ্যমে উদ্বেগ নিয়ে প্রশ্ন করলে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘ভারত আমাদের কাছে কোন উদ্বেগ জানায়নি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এর উৎপত্তি যেখান থেকে হয়েছে সেখানে লিখিত ভাবে জানাব। জাপানের সংবাদমাধ্যম নিক্কে’তে একজন মুক্ত প্রতিবেদন লিখেছেন।’
এদিকে ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা নিয়ে গত রোববার ঢাকার চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, ‘আমার কাছে এ সম্পর্কে কোনও তথ্য নেই। আমরা এটুকু বলতে চাই বাংলাদেশসহ কোনো দেশে চীনের সামরিক স্থাপনা নেই। যদি কিছু থাকে সেটি হচ্ছে মেরামত করার জন্য কারখানা এবং সেটিও বাংলাদেশের সরকারের প্রয়োজন অনুযায়ী। তবে আমি নিশ্চিত করে এখন কিছু বলতে পারছি না। আমি বেইজিংয়ের কাছে এ বিষয়ে তথ্য চাইব।’
Discussion about this post