দেশের সব ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যদের সরকারের পক্ষ থেকে যে ভাতা দেওয়া হচ্ছে তা সম্মানজনক নয়। ইউপি সদস্যদের ভাতা দ্বিগুণ নয়, তার চেয়ে বেশি বাড়ানো দরকার বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’ উদ্যোগ বাস্তবায়নে তৃণমূল জনপ্রতিনিধি ইউপি সদস্যদের করণীয় শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার কল্যাণ অ্যাসোসিয়েশন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি এই আলোচনা সভার আয়োজন করেন।
আলোচনা সভায় অংশ নেওয়া ইউপি সদস্যদের উদ্দেশ্য করে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আপনাদের যে ভাতা দেওয়া হচ্ছে তা সম্মানজনক নয়। এই ভাতার পরিমাণ দ্বিগুণ নয়, বরং আরও বাড়ানো দরকার। আপনারা নিজেরা নিজেদের আয় বাড়ান। তাহলেই স্থানীয় সরকার আরও শক্তিশালী হতে হবে।’
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা অনেক উপেক্ষিত। তাদের তেমন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি একটা বাই-সাইকেলও দেওয়া হয় না। সরকার যদি এদেরকে শক্তিশালী করে তাহলে আমাদের রাষ্ট্র শক্তিশালী হবে।’
এ সময় মন্ত্রী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ইউনিয়ন পরিষদের টাক্স আদায়ে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন।
আলোচনা সভায় অংশ নেওয়া ফরিদপুর সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহিদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের এখন মাত্র ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে মাসে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। এ ভাতা দিয়ে তেমন কিছুই করা যায় না। আমাদের দাবি এই ভাতা ৩০ হাজার পর্যন্ত বাড়ানো হোক।’
বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার কল্যাণ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরীর সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হাশেম চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ বক্তব্য রাখেন।
Discussion about this post