
জাহিদ হোসেন
স্টাফ রিপোর্টার
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে—চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানাধীন একটি মন্দিরের পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ানো হয়েছে। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় জনমনে উত্তেজনা দেখা দিলেও পুলিশি তদন্তে বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়েছে।
হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও থানার অফিসার ইনচার্জ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে সঙ্গে নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, ভিডিওটির সঙ্গে বাস্তব পরিস্থিতির কোনো মিল নেই।
তদন্তে যা পাওয়া গেছে
ভিডিও বনাম বাস্তবতার অমিল : ভিডিওতে টাইলস দেওয়া মেঝে দেখা গেলেও সংশ্লিষ্ট মন্দিরের মূল তলায় কোনো টাইলস নেই। শুধু দ্বিতীয় তলার একটি ছোট কক্ষে ভিন্ন ধরনের কিছু টাইলস আছে, তবে সেগুলো ভিডিওর দৃশ্যের সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি।
প্রতিমার অসামঞ্জস্যতা : ভিডিওতে দুর্গাপ্রতিমা দেখা গেলেও সংশ্লিষ্ট মন্দিরে এখনো দুর্গাপূজার প্রতিমা স্থাপন করা হয়নি। সেখানে কেবল একটি স্থায়ী কালী প্রতিমা রয়েছে, যা ভিডিওর অস্থায়ী প্রতিমার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ নয়।
অস্তিত্বহীন মন্দির : অনুসন্ধানে জানা যায়, হাটহাজারী থানার পুরো এলাকায়ই ভিডিওটির সঙ্গে হুবহু মিলে যায় এমন কোনো মন্দির নেই।
পুলিশের বক্তব্য
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ জানিয়েছে—ভিডিওটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, উদ্দেশ্যমূলক ও অসৎভাবে প্রচার করা হয়েছে। এ ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রচারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক উসকানি সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে, তবে পুলিশ সাইবার জগৎ ও মাঠ পর্যায়ে সর্বদা সতর্ক রয়েছে।

আহ্বান
পুলিশ সকলকে গুজবে কান না দিয়ে শান্ত-সচেতন থাকার অনুরোধ জানিয়েছে। পাশাপাশি যেকোনো উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় বিভ্রান্তিকর ভিডিও ছড়ানোর উৎস সনাক্তে কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।





Discussion about this post