
বাংলাদেশ নিউজ ডেস্ক
বিগত বছরে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সেরা প্রাপ্তি নিঃসন্দেহে নাহিদ রানা। ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটারের বেশি গতি দেওয়ার সামর্থ্য থাকা একজন পেসার পাওয়া বাংলাদেশ দলের শক্তির জায়গাই বদলে দিয়েছে। এই তরুণকে যত্ন করে ধরে রাখাটাও তাই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলছেন নাহিদ। যথারীতি বিপিএলেও তার গতি ভোগাচ্ছে ব্যাটারদের।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে সিলেট স্ট্রাইকার্সের ৪ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচ সেরা। পরে রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান জানান, পুরোপুরি চাপমুক্ত রেখে উড়ার স্বাধীনতা দেয়া আছে নাহিদকে। রংপুর ১৫৫ রান ডিফেন্ড করে মূলত নাহিদের গতির ঝাঁজে।
৪ ওভার বল করে ২৭ রানে তিনি পান ৪ উইকেট। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এটি তার সেরা ফিগার।
সোহান জানান, নাহিদ কীভাবে বল করবেন সেটা বেশিরভাগ সময় নিজে নিজেই ঠিক করছেন, ‘নাহিদ স্বাধীনভাবে বোলিং করছে। খুবই দ্রুতগতির বোলার। নিজের মতোই বোলিং করছে।
যখন কোনো কিছু নিয়ে সংশয়ে থাকে, তখন আমাকে বলে যে এটা করতে চাচ্ছি এখন। আমার মনে হয়, ও নিজের শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করছে। ভালো বোলিং করছে।’মাত্র দুটি ম্যাচ হয়েছে। আমরা দল থেকে চাইব, সে যেভাবে শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করছে, সেটাই করুক। প্রক্রিয়াটা অনুসরণ করুক।
জাতীয় দলের হয়ে টানা খেলে আসার পর বিপিএলের মতন লম্বা আসর। নাহিদের মতন গতি তারকার ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের ইস্যুও আছে। সোহান অবশ্য মনে করেন এই ব্যাপারে এখন বাংলাদেশের সব পেসারই সতর্ক, ‘পেস বোলার যারাই থাকে, সবারই একটা সেট-আপ থাকে কীভাবে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করবে।
একইসঙ্গে দল ওর কাছে যেটা চাচ্ছে, সেটা দেওয়ার জন্য ভালোভাবে চেষ্টা করছে। ও খুব ভালোভাবে জানে নিজের যত্ন কীভাবে নিতে হবে।বিসিবি থেকেও ফিজিও, ট্রেনাররা পর্যবেক্ষণ করছে। তাই আমার মনে হয়, এটা বড় কোনো ইস্যু না। এখন আর ওই দিন নাই। আমাদের পেস বোলিং যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, সবাই নিজেরটা জানে কার কী করতে হবে।






Discussion about this post