
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর কদমতলী থানা এলাকায় চাঁদাবাজ চক্রের বিরুদ্ধে অভিযানের সময় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী সাপ্তাহিক “মুক্ত বিকাশ” পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আমির হোসেন থানায় দায়ের করা এজাহারে উল্লেখ করেছেন, আসামিরা তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি এবং ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল।
ভুক্তভোগী আমির হোসেন জানান, আসামি মো. রাকিব (২২) এবং মো. ইমরান (২১)সহ আরও দুই অজ্ঞাত ব্যক্তি শামীমবাগ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। চক্রটি স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষকে চাঁদা দিতে বাধ্য করে। তারা আমির হোসেনকে তাঁর পেশাগত কাজে বাধা প্রদান এবং ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে বাধ্য করার চেষ্টা করে।
১৫ জানুয়ারি রাত ১১টায় শামীমবাগস্থ আ. মমিন পাটওয়ারী বাড়ির সামনে আমির হোসেনকে একা পেয়ে চক্রটি তাঁর উপর হামলার চেষ্টা করে। আসামিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চাঁদা দাবি করে। তবে ভুক্তভোগী চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁকে মারধরের চেষ্টা করা হয়।
ভুক্তভোগীর চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসে। উত্তেজিত জনতা আসামি রাকিব এবং ইমরানকে আটক করে এবং পুলিশের হাতে তুলে দেয়। অন্য দুই অজ্ঞাত আসামি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পরে কদমতলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আটককৃত দুই আসামিকে নিজেদের হেফাজতে নেয় এবং তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ইসলামিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী আমির হোসেন জানান, আসামিরা তাঁর কর্মস্থল এবং স্থানীয় বাসিন্দাদেরও নিয়মিত চাঁদা দিতে বাধ্য করেছিল। সাক্ষী উজ্জ্বল ও সজীব নামের স্থানীয় দুই ব্যক্তি জানান, আসামিরা তাদের কাছ থেকেও প্রতিদিন ৩০০ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল।
এই ঘটনার পর রাজধানীর শামীমবাগ এলাকায় চাঁদাবাজ চক্রের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের এই তৎপরতায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান জানিয়েছেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
কদমতলী থানা এলাকার বাসিন্দারা চাঁদাবাজ চক্রের অপতৎপরতা বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তবে এলাকাবাসীর দাবি, চাঁদাবাজ চক্র নির্মূল করতে আরও তৎপরতা বাড়ানো উচিত।






Discussion about this post