
আরিফুর রহমান
স্টাফ রিপোর্টার
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় শেষে শিগগিরই সংস্কারের চূড়ান্ত রুপরেখা ঘোষণা করবেন। এই রূপরেখার মধ্যে সংস্কারের কর্মপরিকল্পনা ও ক্ষমতা হস্তান্তরের উপায়সমূহ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জাতীয় পার্টি, গণফোরাম, হেফাজত ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ মতবিনিময় করেন। পরে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. মাহফুজ আলম এবং প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে মাহফুজ আলম বলেন, ‘মতবিনিময়কালে ড. ইউনূস আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সকল রাজনৈতিক এবং প্লাটফর্মসহ সবার মতামতের ভিত্তিতে আগামীর বাংলাদেশের জন্য শিগগিরই রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা উপস্থাপন করতে পারবেন।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খা এবং সকলের মতামতের ভিত্তিতে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্য তিনি দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের উদ্যোগ নেবেন। যার মাধ্যমে একটা বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য তৈরি হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মাহফুজ আলম বলেন, জনগণের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে। জনগণই তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। তবে এই মুহূর্তে অগ্রাধিকার হচ্ছে-সংস্কার করা। আগে সংস্কার করতে হবে। সংস্কারের প্রস্তাবনার ভেতর থেকে ঠিক হবে সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে। মূলত সংস্কারের প্রস্তাবনা এবং প্রস্তাবনার ভিত্তিতে মেয়াদ শেষে ক্ষমতা হস্তান্তরের আসবে। আমরা আশা করি এটা একটি পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা হবে।
রূপরেখা কি সংস্কার না ক্ষমতা হস্তান্তরের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এতে সবই থাকবে। প্রধান উপদেষ্টা মূলত সংস্কারের রূপরেখা দেবেন। সংস্কারের ভেতরেই অন্তর্ভূক্ত আছে কখন, কিভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে।’
বিশেষ সহকারী বলেন,‘আমরা জনগণের গণঅভ্যুত্থানের ভেতর দিয়ে দায়িত্ব পেয়েছি। এখানে বারবার বলা হচ্ছে রাষ্ট্র মেরামত করার। প্রস্তাবনার ভেতর দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো জানাবেন তারা রাষ্ট্র মেরামত করার জন্য সরকারকে যৌক্তিক কতদিন সময় দেবেন। তারপর ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রশ্ন আসবে। সংস্কারের ভেতরই ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে।





Discussion about this post