
নিজস্ব প্রতিবেদক
লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন লক্ষ্মীপুর জেলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে যুক্ত সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাতে এই সম্মেলনের আয়োজন করেন বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীরা।
লিখিত বক্তব্যে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, কোটা নিয়ে বৈষ্যমের কারণে সারাদেশের ন্যায় লক্ষ্মীপুর জেলা আন্দোলনে মাঠে নামে শিক্ষার্থীরা। এই আন্দোলনে ৪ জন শিক্ষার্থী ও প্রায় ২’শ আহত হয়। আহতদের মধ্যে অনেকে চিকিৎসার ব্যয় চালাতে হিমসিম খাচ্ছে। অথচ একটি গোষ্ঠী নিজেদের আন্দোলনের সমন্বয়ক দাবী করে বিভিন্ন স্থানে অনৈতিক সুবিধা ও নাশকতা করে যাচ্ছে যাদের সাথে আমাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই।
কেন্দ্রীয় কমিটির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কোন স্থানে কমিটি নেই তার পরও বিষয়টি মানা হচ্ছেনা লক্ষ্মীপুর জেলায়। এটা দুঃখজনক বলে তারা উল্লেখ করেন।
তারা বলেন, কোন ধরনের সমন্বয়ক ছাড়া তারা কেন্দ্রীয় নির্দেশে রাস্তায় নেমেছেন যার যার অবস্থান থেকে। অনেক সাধারণ শিক্ষার্থী আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেফতার, আহত ও নিহত হন অথচ তারা কোন কমিটির সমন্বয়ক দাবী করেনি।
বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আমরা উপস্থিত সবাই কেউ আন্দোলন করতে গিয়ে আহত কেউ গ্রেফতার করে কারাগারে ছিলাম অথচ আমাদের সাথে যোগাযোগ না করেই একটি পক্ষ বার বার কমিটি গঠন ও নিজেদের সমন্বয়ক দাবী করে যাচ্ছে বিষয়টি নিয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান, লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকদের অবহিত করা হয়।
গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীরা বলেন, শেখ হাসিনা সরকার পতনের সংবাদ পেয়ে লক্ষ্মীপুর জেলায় আন্দোলন নামে একটি গোষ্ঠী বিভিন্ন ব্যাক্তি ও কিছু প্রতিষ্ঠানে হামলা ও অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের মতো অপকর্মের সাথে জড়িত যার সাথে আমরা সাধারণ আন্দোলনকারী কোন ভাবে যুক্ত নই।
এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম,আরমান হোসেন, রেদোয়ান হোসেন,নএম বায়েজীদ হোমেন, মো. আলী, তাজিম উদ্দিন নাফিজ, আবদুল ওহিদ, ডিআর প্রভাত, আরমান হোসাইন, পিংকি পাটোয়ারী, রাইসা ইসলাম সেতু, সরোয়ার হোসেনসহ উপস্থিত ছিলেন।
সুত্রঃ ভোরের পত্রিকা





Discussion about this post