
রাকিব হোসেন মিলন
স্টাফ রিপোর্টার
রাজধানীর নিউমার্কেট থানাধীন হাতিরপুল এলাকায় র্যাবের পোশাক পরে ডাকাতি করার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই সংঘবদ্ধ চক্রটি ভুয়া র্যাব পরিচয়ে ডাকাতি: চক্রের পাঁচ সদস্য গ্রেফতার, উদ্ধার মালামালপরিচয়ে রাতের আঁধারে ডাকাতি চালিয়ে এক প্রবাসীর কাছ থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে।
ভুক্তভোগী মো. ফারুক মিয়া ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে দুবাই থেকে দেশে ফেরেন। বিমানবন্দর থেকে বাসায় ফেরার পথে রাত ৩টার দিকে হাতিরপুল এলাকায় পৌঁছালে একটি কালো নোহা মাইক্রোবাস তার গাড়ির গতিরোধ করে। গাড়ি থেকে ৫-৬ জন র্যাবের পরিচয়ে ডাকাতি: চক্রের পাঁচ সদস্য গ্রেফতার, উদ্ধার মালামালপোশাক পরিহিত ব্যক্তি নেমে নিজেদের র্যাব পরিচয়ে ডাকাতি: চক্রের পাঁচ সদস্য গ্রেফতার, উদ্ধার মালামাল সদস্য পরিচয় দিয়ে ফারুক মিয়াকে টেনে-হিঁচড়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে নেয়।
এরপর তারা ফারুক মিয়াকে জোরপূর্বক তাদের গাড়িতে উঠিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরানোর পাশাপাশি শারীরিক নির্যাতন করে। একপর্যায়ে, তার কাছে থাকা ১০০ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার, দুটি স্যামসাং এস-২৫ আল্ট্রা, একটি আইফোন ১২, একটি অ্যাপল ম্যাকবুক, একটি আইপ্যাড, অ্যাপল ওয়াচসহ প্রায় ১৯ লাখ ৭০ হাজার টাকার মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নেয়।
ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ডাকাতরা তাকে হাতিরঝিল এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে নিউমার্কেট থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে আসামি মো. মানিককে এলিফ্যান্ট রোড বাটা সিগনাল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মূলহোতা মো. আল আমিন হাওলাদারকে পটুয়াখালীর বাউফল থেকে আটক করা হয়।
এরপর ধাপে ধাপে চক্রের আরও তিন সদস্য— মো. ওমর ফারুক (বরিশাল), মো. ফারুক বেপারী (রামপুরা) এবং মো. শহিদুল ইসলাম শেখ (রামপুরা) —কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ডাকাতির সময় ব্যবহৃত একটি নোহা মাইক্রোবাস, র্যাবের পোশাক, হ্যান্ডকাফ, লাঠি ও নগদ ৩০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোল্যা শাহাদাৎ জানান, গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করেছে যে, তারা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য এবং দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় একই কৌশলে অপরাধ সংঘটিত করে আসছিল। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও কয়েকজনকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের ভুয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় ব্যবহার করে প্রতারণা ঠেকাতে সাধারণ মানুষকে আরও সতর্ক হতে হবে। যাত্রাপথে সন্দেহজনক পরিস্থিতি দেখলে পুলিশের সহায়তা নেওয়া উচিত। একইসঙ্গে, ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ফোন নম্বর ও তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা জরুরি।






Discussion about this post