
রাকিব হোসেন মিলন।
সিনিয়র রিপোর্টার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার ইউনিয়নের আশ্রম—জনতাবাজার এন.ইসলাম সড়কের পাকা রাস্তা নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে। মিড়িয়াকর্মীদের সংবাদ বিষয়ে অগ্রীম টের পেয়ে তড়িঘড়ি করে করা হচ্ছে কার্পেটিং। প্রায় ৩ হাজার একশো মিটার সড়কে ব্যবহার করা হচ্ছে নিন্মমানের ইটসহ বালির বদলে মাটি। বিটুমিন না দিয়ে কেবলমাত্র ধূলোর উপর কার্পেটিং করা হচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, উর্ধ্বতন কর্মকতাদের ম্যানেজ করেই এসব অনিয়ম করছে সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদার। আশ্রম এলাকার আবু সাইদ, আনিসুর রহমান ও জনতা বাজার এলাকার অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, এ রাস্তা বেশী দিন টিকবেনা। নম্বরবিহীন ইট দিয়ে দায়সারা কাজ করেন ঠিকাদার।তারা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের উপযুক্ত শাস্তি কামনা করেন।
জনতা বাজার এলাকার স্থানীয় ও সাবেক আলেকজান্ডার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন রাজু অভিযোগ করে বলেন এই কাজে অনিয়মের বাধা দিতে গেলে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হয় তাদের। তাদের দাবি নিম্নমানের ইট অপসারণ করে উন্নতমানের ইট দিয়ে অবিলম্বে নতুন করে রাস্তা নির্মাণ করা হোক। স্থানীয় মাসুদ সুমন, আব্দুর রহমান বলেন, এই রাস্তা নির্মাণে শুরু থেকেই ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়ার অফিসকে বারবার বলেও কোনো লাভ হয়নি। তারা আমাদের কথার কোন গুরুত্ব না দিয়ে নিজের ইচ্ছে মত ৩/৮ নম্বর ও চার নম্বর ইট দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করেছে।
উপজেলা এলজিইডি অফিস সুত্রে জানা যায়, ৩ হাজার একশ মিটার রাস্তা পাকা করনের জন্য ৯৩ লাখ ৬১ হাজার টাকার বরাদ্দ পান
সাজিদ ট্রেডার্স নামের এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কার্যাদেশ পাওয়ার পর কাজ শুরু করেন প্রতিষ্ঠানটি। কাজটি ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনও এর ৫০ভাগ কাজ এখনো বাকি রয়েছে। এতে এলাকাবাসীর পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি।
এ বিষয়ে কথা বলতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী মোঃ সেলিমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেন নি।
উপজেলা উপ—সহকারী প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোঃ আব্দুর রহিম বলেন, ঐ রাস্তায় কিছু অনিয়মের অভিযোগ উঠলে আমরা সাথে সাথে ঠিকাদারকে অবহিত করেছি। শতভাগ কাজ বুঝে না পেলে বিল দেয়া হবেনা।
রামগতি উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সাইফুল ইসলাম সংবাদকর্মীদের অফিসে এসে অভিযোগ করার পরামর্শ দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম শান্তুনু চৌধুরী বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
অবিলম্বে রাস্তায় এসব নিম্নমানের ইট অপসারণ করে উন্নতমানের ইট দিয়ে নতুন করে রাস্তা নির্মাণের দাবি করেছেন এলাকাবাসী।





Discussion about this post