
রাকিব হোসেন মিলন
বিশেষ প্রতিনিধি
ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের বিশেষ অভিযানে ৩৪ কেজি গাঁজা, একটি কাভার্ডভ্যান এবং এক মাদক কারবারি গ্রেফতার হয়েছে।
অভিযানের নেতৃত্ব দেয় সিটিটিসির স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের এন্টি ইললিগ্যাল আর্মস অ্যান্ড ক্যানাইন টিম।
গ্রেফতার ও মাদক উদ্ধার
৮ জানুয়ারি (বুধবার) রাত ১১:৩০ মিনিটে ধোলাইপাড় এলাকার শারফ মসজিদের সামনে অভিযান চালিয়ে মোঃ এলাহী শেখ (২৮) নামের এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা আরও দুই সহযোগী, মোঃ রিপন এবং মোঃ রমজান, পালিয়ে যায়। এলাহী শেখকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কাভার্ডভ্যানের পেছন থেকে নয়টি প্যাকেটে রাখা ৩৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত গাঁজার বাজারমূল্য
আনুমানিক ৬ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। অভিযানের সময় এলাহী শেখের কাছ থেকে মাদক বিক্রির নগদ ২,৫০০ টাকাও জব্দ করা হয়।
অভিযানের বিবরণ
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিটিটিসি জানতে পারে, রাত ৯টায় ধোলাইপাড় এলাকার দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী মসজিদের সামনে মাদক হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে। খবরের সত্যতা যাচাই করে রাত ৯:৩০ মিনিটে ধোলাইপাড় মোড়ে টিমটি অবস্থান নেয়। রাত ৯:৫০ মিনিটে সন্দেহভাজন কাভার্ডভ্যানটি পার্ক করার সঙ্গে সঙ্গে এলাহী শেখকে আটক করা হয়। তার সঙ্গীরা পালিয়ে গেলেও তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
মাদকের উৎস ও কার্যক্রম
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এলাহী শেখ জানান, তিনি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গাঁজা সংগ্রহ করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্রির সঙ্গে জড়িত। পলাতক দুই সহযোগী রিপন ও রমজান এ মাদক চক্রের সক্রিয় সদস্য।
আইনি ব্যবস্থা
এ ঘটনায় ডিএমপির যাত্রাবাড়ী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত এলাহী শেখের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। পাশাপাশি পলাতক আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান
সিটিটিসি নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাদক চক্রের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মত
মাদকবিরোধী অভিযানে এই ধরনের সাফল্য রাজধানীসহ সারা দেশে মাদক চক্রের বিরুদ্ধে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তবে পালিয়ে যাওয়া আসামিদের গ্রেফতার এবং মাদকের মূল সরবরাহ চক্রের সন্ধান পাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এই অভিযান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাদক নির্মূল কার্যক্রমের একটি উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত। তবে মাদকের বিরুদ্ধে সমাজের সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে।






Discussion about this post