
মো: সোহেল খান
দৌলতখান উপজেলা প্রতিনিধি
ভোলার বিচ্ছিন্ন মাঝের চরে মেঘনা নদীর তীব্র ভাঙনের দেখা দিয়েছে। এতে গত কয়েকদিন ধরেই বিলীন হচ্ছে বসতঘর ও ফসলি জমি। ভাঙনের কবলে পড়ে ফসলি জমি হারিয়ে দিশেহারা কৃষকরা। অপরদিকে ভাঙনের তীব্রত বেড়ে যাওয়ায় আতংকিত স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে মেঘনা নদীর তীব্র স্রোতে ভেঙে যাচ্ছে সদর উপজেলার কাচিয়ার ইউনিয়নের কৃষির রাজ্য নামে পরিচিত বিচ্ছিন্ন মাঝের চর। আর চরের রামদেবপুর, চর টবগী ও মধুপুরের পাঁচটি পয়েন্টে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের কবলে প্রতিদিনই কমবেশি ফসলি জমি ও বসতঘর মেঘনায় বিলীন হচ্ছে। নদী ভাঙনের কারণে কেউ কেউ ফসলি জমি হারিয়েছেন। আবার কেউ কেউ বসতঘর হারিয়ে হয়েছেন গৃহহীন।
মাঝের চরের বাসিন্দা মো. আলী হোসেন জানান, মেঘনার তীব্র ভাঙনে বসতঘর নদীতে বিলীন হয়েছে। বর্তমানে থাকার জায়গা নেই। বসতঘর হারিয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে উঠেছি। বিলকিস বেগম, জাহানারা বেগম ও মো. বেলায়েত হোসেন জানান, বসতঘর অনেক বছর আগে মেঘনায় বিলীন হয়েছে। পরে মাঝের চরে এসে সরকারি ঘর পেয়ে শান্তিতে বসবাস শুরু করি। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে মেঘনায় তীব্র ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। এভাবে ভাঙন থাকলে হয়তো কয়েক দিনের মধ্যে আমাদের বসতঘরও নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো ডিভিশন-১) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান জানান, একটি প্রকল্প পাশের মাধ্যমে আমরা মাঝের চরকে মেঘনার ভাঙন থেকে রক্ষা করতে পারবো। এজন্য শিগগিরই কাজ শুরু হবে। এছাড়াও বালু মহল সীমানার বাহিরে এসে কেউ যাতে কেউ বালু উত্তোলন করতে না পারে সেজন্য মনিটরিং করা হবে।





Discussion about this post