
আরিফ খান
জাতীয় নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা নির্বাচন কমিশনের অধীনে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে কমিশনকে সরকার সহযোগিতা করবে। এর বাইরে আওয়ামী লীগ একচুলও নড়বে না বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রোববার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মৎস্যজীবী লীগের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করে লাভ নেই। সর্বোচ্চ আদালত একে জাদুঘরে পাঠিয়েছে। ভারতসহ পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে সরকারের যে দায়িত্ব সেইভাবে নির্বাচন হবে। নির্বাচন কিন্তু শেখ হাসিনার সরকারের অধীনেই হবে। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও গ্রহযোগ্য নির্বাচনের শেখ হাসিনা সরকার কমিশনকে সহযোগিতা করবে। এটাই নিয়ম। এর বাইরে আমরা একচুলও নড়ব না। এটা মেনেই আপনাদের আসতে হবে।’
নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে শুরু করে সেনাবাহিনী, বিজিবি, নির্বাচন পরিচালনা যাঁরা করবেন তাঁরা সরকার নয়, নির্বাচন কমিশনের অধীনেই থাকবে। নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর শেখ হাসিনা সরকারের কোনো কর্তৃত্ব থাকবে না বলে জানান কাদের।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে কাদের বলেন, ‘ভয় পাচ্ছেন কেন? ভয় পাবেন না। রেগে যাচ্ছেন কেন? রেগে গেলে হেরে যাবেন। ভয় পাবেন না, ভয়কে জয় করুন।’
বিএনপির মহাসচিবের উদ্দেশে কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব চিৎকার-চেঁচামেচি করে লাভ নেই। নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা ছাড়ার অন্য কোনো বিকল্প পথ নাই। কাজেই সরকার পরিবর্তন চাইলে নির্বাচনে আসতে হবে। সোজা পথে আসেন, বাঁকা পথে গেলে হবে না। আগুন সন্ত্রাস করে নিজেদের জনপ্রিয়তা যা ছিল সেটাও হারিয়েছেন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি বলেছে এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। নির্বাচনে যাবে না গতবারও বলেছিল শেষ পর্যন্ত পানি ঘোলা করে ঠিকই গেছে। সময় এলে এবারও যাবে। এখন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার অপচেষ্টা করছে বিএনপি।’
নির্বাচনই সরকার পরিবর্তনের একমাত্র পথ জানিয়ে বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে আসুন। শেখ হাসিনার সৎ সাহস আছে। তিনি বলেছেন, আমি যদি হেরে যাই, আমি চলে যাব।’





Discussion about this post