
জাহিদ হোসেন
স্টাফ রিপোর্টার
দেশের নদ-নদীগুলোর জীববৈচিত্র্য ও মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণে আবারও প্রশাসনের কার্যক্রম নজর কেড়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে নাজিরপুর নৌ পুলিশ, মুলাদী উপজেলা মৎস্য অফিসার এবং মুলাদী এসি ল্যান্ডের যৌথ উদ্যোগে জয়ন্ত নদীতে অভিযান পরিচালিত হয়। এ অভিযানে অবৈধভাবে স্থাপিত তিনটি বাধা জাল উদ্ধার করা হয়।
অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন নাজিরপুর নৌ পুলিশের ইনচার্জ এবং মুলাদী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা। দীর্ঘদিন ধরে জয়ন্ত নদীতে এই ধরনের অবৈধ জাল দিয়ে মাছ ধরা হচ্ছিল, যা নদীর স্বাভাবিক পরিবেশ ও মৎস্য প্রজননকে ব্যাহত করছিল।
এরপর ২ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে পুনরায় বড় পরিসরে অভিযান চালানো হয়। এ অভিযানে প্রায় বিশ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত জালগুলো নদীর তীরে এনে স্থানীয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

মুলাদী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, “এই ধরনের অভিযানের উদ্দেশ্য হলো নদীর জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা এবং অবৈধ মৎস্য শিকারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া।”
মুলাদী এসি ল্যান্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “নদীকে রক্ষা করা আমাদের সামাজিক ও পরিবেশগত দায়িত্ব। আমরা এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখব এবং অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।”
স্থানীয় মৎস্যজীবীরা এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। তাদের মতে, অবৈধ জাল সরানোর ফলে নদীর পরিবেশ উন্নত হবে এবং মাছের প্রজনন বৃদ্ধি পাবে। তবে তারা চান, এর পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকে টেকসই সমাধান ও বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হোক।
অবৈধভাবে স্থাপিত জাল অপসারণ এবং ধ্বংসের এই অভিযান একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে এ ধরনের কার্যক্রমকে নিয়মিত ও টেকসইভাবে পরিচালনা করতে হবে, যাতে নদীর পরিবেশ সুরক্ষিত থাকে এবং মৎস্যজীবীদের জীবিকা নিশ্চিত করা যায়।






Discussion about this post