
স্টাফ রিপোর্টার
বাংলাদেশের সামাজিক অবক্ষয়, নৈতিকতা হীনতা ও দুর্নীতির লাগামহীন বিস্তারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এক প্রবাসী বাংলাদেশি। নিজের অভিজ্ঞতা ও অন্তরদাহ থেকে জাতির উদ্দেশে তিনি একটি স্পষ্ট ও সাহসী বার্তা দিয়েছেন—“দালাল চক্র ও গডফাদারদের খুঁজে বের করে বিচার করুন, নয়তো দেশ রক্ষা করা যাবে না।”
প্রবাসে অবস্থান করলেও দেশের বর্তমান বাস্তবতা তাকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে। তার ভাষায়, “বাংলাদেশ এখন অন্ধকারে নিমজ্জিত। সমাজে মানুষ অমানুষ হয়ে উঠছে। টাকার নেশায় ভরে গেছে মানুষের বিবেক। মাদক, দুর্নীতি, মানবপাচার—এসব অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে সমাজের একাংশ, আর তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে ক্ষমতাবান গডফাদাররা।”
তিনি আরও বলেন, “যারা অপরাধীদের রক্ষা করে, যারা ঘুষ খেয়ে দোষীদের ছেড়ে দেয়, তারা যত বড় পদেই থাকুক—তাদের বিচার করতে হবে। প্রশাসনের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা দুর্নীতিবাজদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে না পারলে দেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।”
প্রবাসী এই বাংলাদেশি সাংবাদিক ও আইনজীবীদের একাংশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। “টাকার বিনিময়ে যারা সত্য আড়াল করেন, মিথ্যার পৃষ্ঠপোষকতা করেন—তারা দেশ ও জাতির শত্রু। তাদেরও কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।”
তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, “ঘরের অভিভাবক যদি ঘুষখোর হয়, তাহলে সন্তানদের কি আর সৎ হওয়ার সুযোগ থাকে?”
তার মতে, দেশের উন্নয়ন শুধু অবকাঠামো দিয়ে হয় না, বরং নৈতিকতা, জবাবদিহিতা ও মানবিকতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই টেকসই রাষ্ট্র গড়া সম্ভব। তাই তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, “এখনই সময় ঘুরে দাঁড়াবার। দেশকে ভালোবাসুন, ঘরের ভেতরের অপরাধকে না বলুন। মাদক, মানবপাচার, দালাল ও দুর্নীতিবাজদের নির্মূল করুন।”
সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে তিনি দেশবাসী ও প্রবাসীদের উদ্দেশে বলেন, “দেশ এক কঠিন সময়ে দাঁড়িয়ে। সময় থাকতে ব্যবস্থা নিন। সচেতন হোন, সতর্ক হোন। গডফাদার ও দালাল চক্রকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনুন। তবেই আমাদের বাংলাদেশ হবে নিরাপদ, স্বচ্ছ ও মানবিক রাষ্ট্র।”





Discussion about this post