
মোঃ কামরুল হাসান
বিশেষ প্রতিনিধি কক্সবাজার।
নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এবং বিচার ও সংস্কারের লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি দেশব্যাপী আনুষ্ঠানিক ভাবে সংগঠিত হচ্ছে। সে অনুযায়ী কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলায় ১০৫ সদস্য বিশিষ্ট থানা প্রতিনিধি কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় কমিটি।
কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারি ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং কেন্দ্রীয় সদস্য এএসএম সুজা উদ্দিন স্বাক্ষরিত কমিটির প্রতিনিধিরা জনকল্যাণে ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য কাজ করবেন।
নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত সফল করতে উক্ত কমিটি জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছবেন বলে আশাবাদী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এএসএম সুজা উদ্দিন।
এই কমিটি রামু উপজেলার মানুষের প্রয়োজনে ১৯ দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে রামু উপজেলার সকল শ্রেণির মানুষকে নিয়ে একসাথে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
১) রামুতে সংগঠিত সকল সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক বিচার নিশ্চিত করা
২) জুলাই বিপ্লবের বিপক্ষ শক্তির সকল কর্মকাণ্ড কঠোর হস্তে দমন করে রামুতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা।
৩) প্রশাসনে বিদ্যমান সকল ফ্যাসিস্টশক্তির দোসর কর্মকর্তা, কর্মচারীদের চাকরি থেকে বহিষ্কার।
৪) সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানে গণমানুষের সেবা প্রাপ্তির লক্ষ্যে সরকারি অফিস সমূহের কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করণ।
৫) ভূমি অফিস,থানা, ইউএনও অফিস কৃষি ও মৎস,সমাজসেবা এবং বিদ্যুৎ অফিসসহ সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানে দালাল মুক্ত করণ এবং এসকল প্রতিষ্ঠানে বেসরকারিভাবে কর্মরত দূর্নীতিগ্রস্ত জনদূর্ভোগ সৃষ্টিকারী দালাল সিন্ডিকেট এবং জড়িত সকল কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া।
৬) রামুতে সকল ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ দেওয়া ও দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের পূর্বক আত্মসাৎকৃত সকল সরকারি ভাতা ফেরত নেওয়া।
৭) রামুতে কার্যক্রম পরিচালনাকারী সকল বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মকাণ্ডের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং সকল এনজিওতে জুলাই বিপ্লবের পক্ষের প্রতিনিধি রাখা।
৮) রামুতে অবৈধভাবে সড়কে সিএনজি, অটোরিকশা স্ট্যান্ড বসিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ করা।
৯) বাঁকখালী নদীতে অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধ করা এবং বাঁকখালী নদী ড্রেজিং করা।
১০) রামুর যানজট নিরসনে বিশেষ সেল গঠন করে ট্রাফিক ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ।
১১) ভূমিদস্যুদের কাছ থেকে বনভূমি উদ্ধার ও অবৈধ পাহাড় কাটা বন্ধ করা।
১২) সকল অবৈধ করাতকল এবং ইটভাটা উচ্ছেদ।
১৩) রামুতে সকল চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাস রোধকল্পে ব্যবস্থা নেওয়া।
১৪) দরপত্রের মাধ্যমে রামুর সকল,হাট-বাজার এবং বালুমহালের ইজারা নিশ্চিত করা।
১৫) রামুতে মাদকবিরোধী অভিযোগ জোরদার করা এবং সকল চোরাচালান বন্ধে প্রশাসনের পদক্ষেপ গ্রহণ।
১৬) রামুর ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সরকারের সঠিকভাবে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান।
১৭) ভোটার তালিকা বিশেষভাবে হালনাগাদ করে রোহিঙ্গা ভোটার বাদ দেওয়া।
১৮) রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ হিসেবে রামুর জন্য সরকারের বিশেষ বাজেটে বরাদ্দ দেওয়া।
১৯) রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পসহ কক্সবাজারে কার্যক্রম পরিচালনাকারী সকল এনজিও সমূহে চাকরির ক্ষেত্রে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে বিশেষকরে রামুর বেকার শিক্ষিতদের প্রাধান্য দিতে হবে।




উল্লেখ্য এই কমিটির আগামী ৬০ দিন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করবে।






Discussion about this post