
মোঃ কামরুল হাসান
জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়া ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ তালিকাভূক্ত আওয়ামী লীগ নেতা ও জাতীয় ট্যাবলয়েড মানবজমিনের কক্সবাজারস্থ স্টাফ রিপোর্টার রাসেল চৌধুরী আটক হয়েছেন। কক্সবাজার কারাগারে থাকা কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমলের ছোট বোন নাজনীন সরওয়ার কাবেরীকে কারাগারে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেয়ার চেষ্টাকালে তাকে আটক করা হয়।
কক্সবাজার কারাগার গেইট এলাকা থেকে রাসেল চৌধুরীকে আটক করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। পরে তাকে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রাসেল চৌধুরী সদর থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। ছাত্রদের সহযোগিতায় তাকে আটক করা হয়েছে। তার বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কক্সবাজার জেলা শাখা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসুবকে জানিয়েছে, ‘কক্সবাজার জেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী, উখিয়া উপজেলার ভোট ডাকাত ভাইস চেয়ারম্যান, উখিয়া-টেকনাফ উপজেলার বদি’র ইয়াবা রাজ্য প্রতিষ্ঠার অন্যতম সহযোগি রাসেল চৌধুরী। জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনিন সরওয়ার কাবেরিকে কারাগারে অবৈধভাবে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা তৈরির চেষ্টাকালে ছাত্র জনতার হাতে আটক।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি আরিয়ান খান ফারাবী জানান, রাসেল চৌধুরী কারাগারে আটক আওয়ামী লীগ নেত্রী নাজনীন সরওয়ার কাবেরীর দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে সাথে নিয়ে কক্সবাজার কারাগারে অনৈতিক সুবিধা পাইয়ে দেয়ার চেষ্টা করছিলেন। ছাত্র প্রতিনিধিরা কারাগার এলাকায় অবস্থান নিলে তিনি ওখান থেকে সরে যান। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ এসে তাকে ধরে নিয়ে যায়।
রাসেল চৌধুরী সদ্য অপসারিত উখিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি। তিনি সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত। বর্তমানে তিনি উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কক্সবাজার শাখা সম্প্রতি কক্সবাজারে আওয়ামী লীগের দোসর সাংবাদিকদের একটি তালিকা প্রকাশ করে। ওই তালিকায় রাসেল চৌধুরীর নামও অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।






Discussion about this post